সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জঙ্গলমহলের বলরামপুরে সভা করেছিলেন তৃণমূলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পালটা মঙ্গলবার সভা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, কোণায় কোণায় ভিড়ে ঠাসা থাকবে ময়দান। কিন্তু ছোট মাঠই এদিন ভরাতে পারল না বিজেপি। কার্যত ফাঁকা মাঠেই হিন্দুত্বের জয়গান করলেন বিজেপির হিন্দুত্বের পোস্টার বয় আদিত্যনাথ। অবশ্য রাজ্যের শাসকদল বিজেপির সমর্থকদের সভায় আসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপির তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথ।
এদিনের সভা ছিল বলরামপুরে বানেশ্বর মাহাতোর সমর্থনে। এটা মমতার পালটা সভা বলে প্রচার করা হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বলরামপুরের বিজেপির সভা কার্যত ফ্লপ। সেই সভা থেকেই যোগীর দাবি, “২০১৯ সালে আমি পুরুলিয়া (Purulia) এসেছিলাম। সেই সময় আমার হেলিকপ্টার নামতে দেয়নি বাংলার সরকার। ঝাড়খন্ডে নেমে তারপর সড়ক পথে এসে আমি দেখেছি এখানকার মানুষের কত উৎসাহ তাই আমি এবার ঠিক করেছি নির্বাচনী প্রচার পুরুলিয়া থেকে শুরু করব।” তবে তাঁর সভায় যে ভিড় হয়নি, তা মানতে রাজি নন যোগী। ফাঁকা সভা নিয়ে তাঁর সাফাই,”আমি হেলিকপ্টার থেকে দেখছিলাম এখানকার কার্যকর্তাদের সভায় আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদেরকে বাধা দিচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় আটকে দিচ্ছে পুলিশl আমার বিশ্বাস ছিল সেই বাধা ভেঙে সভায় ভিড় হবে। পরে সবাই ভিড় তা প্রমাণ করে দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন : কাকে ভোট দেবেন জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা? ঠিক করে দেন এই ‘মাঝিবাবা’রাই]
এরপরই সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করেন যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, “জয় শ্রীরাম বললে মমতাদি রেগে যাচ্ছেন। আর এখানে আমাকে জয় শ্রীরাম বলে অভিবাদন করছেন। তাই এখন মমতাদি মন্দিরে গিয়ে চন্ডীপাঠ করছেন। এটাই পরিবর্তন।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল গান্ধীকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি যোগী। এদিনের সভা থেকে যথারীতি তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন তিনি।
তবে এদিনের যোগীর ‘ফাঁকা’ সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ও। বললেন, বাংলায় জিততে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দিল্লি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জার করছেন। প্রচার করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে যোগী আদিত্যনাথকে আনছে। অথচ তাঁদের সভা ভরছে না। পুরুলিয়ার মানুষ বহিরাগতদের প্রত্যাখ্যান করেছে।”
ছবি: অমিতলাল সিং দেও
[আরও পড়ুন : ‘আমাকে খুনের চেষ্টা করলে গোল্লা পাবে’, বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতার]
দেখুন ভিডিও: