সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মঘাতী হলেন আরও এক আন্দোলনকারী চাষি (farmer)। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লি সীমানার এক শৌচাগার থেকে কৃষকের দেহ উদ্ধার হয়। সেখানে একটি সুইসাইড নোটও (Suicide Note) মিলেছে বলে খবর। সেই সুইসাইড নোটে ওই কৃষক নিজের মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে দায়ী করেছেন বলে দাবি কৃষক সংগঠনের।
দফায়-দফায় বৈঠকের পরও কৃষি আইন (Farm Law) নিয়ে রফাসূত্র অধরা। এর মধ্যেই আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর ব়্যালির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আরও এক আন্দোলকারীর আত্মহত্যা কৃষকদের ক্ষোভে আরও ঘি ঢেলেছে।
[আরও পড়ুন : গোটা দেশেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বিনামূল্যে, ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী চাষির নাম কাশ্মীর সিং লোদি (৭৫)। তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর ছেলে এবং নাতিও দিল্লি ও গাজিয়াবাদ সীমানার আন্দোলনে উপস্থিত রয়েছেন। এদিন সকালে বিক্ষোভস্থলের এক শৌচাগারের তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেখান থেকে সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সুইসাইডে নোটে কাশ্মীর সিং লিখেছেন, “কনকনে শীতে আর কতদিন আমরা এখানে বসে থাকবে? সরকার কোনও কথাই শুনছে না। আমি আমার জীবন দিলাম তাতে যদি সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।” ওই নোটে তিনি আরও জানিয়েছেন যে বিক্ষোভস্থলেই যেন তাঁর শেষকৃত্য করা হয়। বছরের শুরুতেই এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে আন্দোলন আরও জোরদার করার ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। শনিবার তাঁরা জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আরও এক দফা আলোচনা হওয়ার কথা। কৃষি আইন নিয়ে ৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টেও শুনানি রয়েছে। এর পরেও কোনও সমাধানসূত্র না বের হলে দেশজুড়ে ধারাবাহিক আন্দোলন নামবেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে কৃষক নেতা দর্শনপাল জানিয়েছেন, “৫ জানুয়ারি থেকে দিল্লি-হরিয়ানা হাইওয়েতে বিক্ষোভ দেখানো হবে। ২৩ জানুয়ারি বিভিন্ন রাজ্যে রাজভবনের বাইরে বিক্ষোভ হবে। আর ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে বিশাল ট্র্যাক্টর ব়্যালির আয়োজন করা হবে। জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো হবে ট্র্যাক্টর। সবমিলিয়ে নতুন বছরে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন ‘অন্নদাতা’রা। এবার সরকার কী কৌশল নেয়, সেটাই দেখার?