সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎ চাকরি পেতেই ঘুরে গেল প্রেমিকের মন। বাড়ির লোকের দেখা পাত্রীর সঙ্গেই বিয়েতে বসতে রাজি হয়ে গেলেন তিনি। আর সেই খবর জানতে পেরেই প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এলেন প্রেমিকা। সঙ্গে নিয়ে এলেন ব্যান্ড পার্টি-সহ কনেযাত্রীরাও। বিয়ে করলে তাঁকেই করতে হবে, অন্যথায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন, এমন হুমকি দিতেও শুরু করেন। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয় পুলিশকে। শুনতে অবাক লাগলেও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোরক্ষপুরে সামনে এসেছে এমনই এক ঘটনার খবর। যা শুনে হতবাক অনেকেই।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেয়েটির অভিযোগ, এক আত্মীয়ের বাড়িতে দু’বছর আগে সন্দীপ মৌর্য নামে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। সেসময় দু’জনেরই একে-অপরকে পছন্দ হয়। যা গড়ায় প্রেমের সম্পর্ক পর্যন্ত। এমনকী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে নাকি সহবাসও করেছিলেন সন্দীপ। শুধু তাই নয়, মেয়েটির পরিবারের লোকের অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল সন্দীপের। মেয়েটির বাবার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কথাও নাকি বলেছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি ভারতীয় সেনায় চাকরি পেতেই নাকি মন ঘুরে যায় সন্দীপের।
[আরও পড়ুন: আমার একার কেন হবে? আইসোলেশনে থাকাকালীনই বউমাকে জড়িয়ে ধরলেন করোনা আক্রান্ত শাশুড়ি]
ঘটনার দিন প্রেমিকের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই নিজের অভিযোগে ওই যুবতী বলেন, চাকরি পেতেই মন ঘুরে যায় সন্দীপের। বাড়ির কথামতো অন্য একজনকে বিয়ে করতে রাজিও হয়ে যান তিনি। আর একথা জানতে পেরেই প্রেমিকের বিয়ে আটকাতে সোজা তাঁর বাড়িতে চলে আসেন ওই যুবতী। সঙ্গে নিয়ে আসেন ব্যান্ড পার্টিও। মেয়েটি দাবি তোলেন, অন্য কাউকে নন, সন্দীপ যেন তাঁকেই বিয়ে করেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে দেখা করার জেদও করতে থাকেন। এমনকী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার হুমকিও দেন। শেষপর্যন্ত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরাই ওই যুবতীকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। যদিও পরবর্তীতে মেয়েটির বাড়ির লোক সন্দীপের নামে থানায় একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।