সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইন গেমিংয়ের (Online gaming) মধ্যেই ধর্মান্তরণের ফাঁদ! উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) সন্ধান মিলল এমনই চক্রের। ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, মূল অভিযুক্ত শাহনওয়াজ এখনও পলাতক। সে অবশ্য মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা। পুলিশ তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।
কীভাবে অনলাইন গেমিংকে কাজে লাগানো হচ্ছিল? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনলাইন গেমিং অ্যাপটির নাম ‘ফর্টনাইট’। মূলত কমবয়সিদেরই টার্গেট করা হত। অভিযুক্ত শাহনওয়াজ খান, যার ডিজিটাল নাম বাড্ডো, সে গেমারদের মধ্যে থেকে কমবয়সিদের আলাদা করে ‘স্পট’ করত। পুলিশ জানাচ্ছে কেউ খেলায় হারছে, এমন দেখলেই তাকে কোরানের আয়াত পড়তে বলা হত। এরপর সে খেলায় জিতে গেলে তার ইসলামের প্রতি আগ্রহ বাড়ত। এরপর অভিযুক্ত ক্রমাগত অনলাইন গেমের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ করে তাদের ধর্মান্তরিত হওয়ার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হত। এমনকী জাকির নায়েক বা তারিক জামিলের ভিডিও-ও পাঠানো হত।
[আরও পড়ুন: নবম-দশমের পাঠ্যবইয়ের পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু, টিবি নম্বরের বৈধতার সময়সীমা জানাল পর্ষদ]
পুলিশ সন্ধান পেয়েছে চারজন নাবালকের। তাদের মধ্যে দু’জন গাজিয়াবাদের বাসিন্দা। বাকিরা ফরিদাবাদ ও চণ্ডীগড়ের। কেবল এদেশেই নয়, ওই চ্যাটিং ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইউরোপের খ্রিস্টান নাবালকদেরও ইসলামে ধর্মান্তরিত করত অভিযুক্ত।