সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ দেখলে মনে হবে যেন কেউ জাদুবলে গ্রামের সব মানুষকে অদৃশ্য করে দিয়েছে! ফাঁকা গ্রামে রয়ে গিয়েছে আতঙ্কের রেশ। কিন্তু কেন? কী কারণে খাঁ খাঁ অবস্থা উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ওই গ্রামের? এর পিছনে ‘ভিলেন’ অজানা জ্বর (Fever)। ইতিমধ্যেই ১২ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই জ্বর। আর তাই যোগীরাজ্যের কানপুর নগর জেলার কুরসৌলি গ্রামের মানুষরা দলে দলে পালিয়েছেন। কয়েকটি বাড়িতে কেবল রয়ে গিয়েছেন পুরুষরা। মহিলা ও শিশুদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশির ভাগ বাড়িই তালাবন্দি। গ্রামজুড়ে কী এক সর্বনাশের ছায়া।
এক মাসেরও কম সময়ে গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। শনিবারও মারা গিয়েছেন একজন। মৃত্যু হয়েছে গ্রামের প্রধান অমিত কুমারের কাকিমা গীতার। ৪০ বছর বয়সি গ্রামপ্রধানের কথায়, ”বাড়িতে আমার স্ত্রী ও সন্তানরা নেই। অন্য আত্মীয়দের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি সকলকে। কিন্তু আমাকে থেকে যেতে হয়েছে গৃহপালিত মোষগুলির সেবা করার জন্য। যদি গবাদি পশু ও চাষবাসের ব্যাপারটা না থাকত, গ্রাম এতদিনে একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ত। এমন একটাও বাড়ি নেই যেখানে কেউ ওই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হননি। তাই অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে যোগীর বিরুদ্ধে দলের মুখ প্রিয়াঙ্কাই! ঘোষণা শীর্ষ কংগ্রেস নেতার]
গত ২০ আগস্ট এক ১৪ বছরের কিশোরীর মৃত্যু হয় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। সেই শুরু। গ্রামজুড়ে শুরু হয় জ্বরের প্রকোপ। খবর আসে একের পর মৃত্যুর। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে পাশের গ্রামে কিন্তু এই পরিস্থিতি নয়।
আপাতত পরিস্থিতি দেখে চিন্তিত জেলা প্রশাসন। গ্রামে বিশেষজ্ঞের দল পাঠানো হয়েছে এরই মধ্যে. প্রাথমিক নমুনা পরীক্ষায় ধরা পড়েছে মূলত ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়াই রয়েছে ‘অজানা’ জ্বরের আড়ালে। যদিও তারই পাশাপাশি অন্যান্য ভাইরাসের প্রকোপও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, সারা দেশেই আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এই অজানা জ্বর। অন্তত ৫টি রাজ্যের পরিস্থিতি বেশ খারাপ। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থা মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ।