সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। প্রথম দফায় ৫৮ আসনে ভোট হচ্ছে। কিন্তু ভোটগ্রহণ শুরুর ঠিক প্রাক লগ্নে বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বাংলা, কাশ্মীর এবং কেরলকে জড়িয়ে রীতিমতো বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন যোগী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিজেপিকে ভোট না দিলে, উত্তরপ্রদেশের অবস্থা হবে বাংলা, কেরল এবং কাশ্মীরের মতো।
এদিন ভোরে যোগী আদিত্যনাথের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। যাতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”একটা কথা আপনাদের মন থেকে বলতে চাই, গত পাঁচ বছরে বহু দুর্দান্ত কাজ আমরা করেছি। যদি আপনারা আমাদের আর সুযোগ না দেন, তাহলে এই পাঁচ বছরের পরিশ্রম বৃথা যাবে। উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, কেরল বা কাশ্মীরের মতো হয়ে যেতে একেবারেই বেশি সময় লাগবে না। আপনাদের ভোট আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আপনাদের ভোটই ভয়হীন জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে।”
[আরও পড়ুন: ‘মোদির শাসনে গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে দেশ’, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশকে সমর্থন লালুর]
অর্থাৎ সুকৌশলে কেরল এবং বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে একাসনে বসালেন যোগী। বোঝাতে চাইলেন বাংলা এবং কেরলের মানুষ ভীতির সঙ্গে বসবাস করেন। দেশের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত এই রাজ্যগুলি। কিন্তু বাস্তব বলছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিকাঠামো সব সূচকেই উত্তরপ্রদেশের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে বাংলা ও কেরল। যে রাজ্যে নারী নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলার নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই ধরনের মন্তব্য কতটা শোভনীয়? প্রশ্ন উঠছেই। আসলে, কেরল বা বাংলার মতো রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘুর সংখ্যা উত্তরপ্রদেশের তুলনায় বেশি। তাই এই রাজ্যগুলিকে সন্ত্রাস অধ্যুষিত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে আসলে মেরুকরণের অঙ্কটিই স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন যোগী, বলছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: পাঁচ রাজ্যেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি, বড় দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির]
দেখার বিষয় হল, যোগীর এই মন্তব্যে ভোটাররা প্রভাবিত হবেন কী? আজ প্রথম দফায় পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মোট ১১টি জেলার ৫৮ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। সকাল ৭টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। শেষ হবে সন্ধে ৬টায়। জাঠ কৃষক অধ্যুষিত পূর্ব উত্তরপ্রদেশে এবার কঠিন লড়াইয়ের মুখে বিজেপি।