সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মইন আলি প্রতি ওভারে ১০-র আশেপাশে রান দিচ্ছেন। সেই জন্যই কি বসিয়ে দেওয়া হল ইংরেজ অলরাউন্ডারকে? আর তার জায়গায় নাইট জার্সি পরে লখনউয়ের বিরুদ্ধে যিনি নামলেন, সেই স্পেনসর জনসন ৩ ওভারে দিলেন ৪৬ রান। ইডেনে লখনউয়ের হয়ে ঝড় তোলা শুরু করলেন আইডেন মার্করাম। শেষ হল নিকোলাস পুরানে। মাঝে একাই প্রায় একশো মিচেল মার্শ। পন্থের ফর্ম খারাপ। তাঁর আর ব্যাট করতে নামার দরকারই পড়ল না। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে কেকেআরের বিরুদ্ধে ২৩৮ রান তুলল লখনউ।

টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নাইট অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। আপাতত, সেই সিদ্ধান্ত পিঠে ছুরিই মেরেছে। তাঁর যুক্তি ছিল, মাঠের একদিক ছোট। রান তাড়া করতে সুবিধা হবে। পিচে সুইং আছে সামান্য। রাতের দিকে বল থমকে আসতে পারে। কিন্তু বোলাররা যেভাবে লাইন-লেংথ গুলিয়ে ফেললেন, তাতে 'পছন্দের' পিচ বিতর্ক আপাতত বিশ বাঁও জলে।
অথচ বৈভব অরোরা শুরুটা খারাপ করেননি। প্রথম ওভারে উঠেছিল মাত্র ১ রান। তারপর স্পেন্সর জনসনের জন্যই বোধহয় অপেক্ষা করেছিলেন মার্করাম ও মার্শ। সেই শুরু হল। সুনীল নারিন থেকে স্পেনসর জনসন, সকলেই দেদার রান বিলোলেন। এগারোতম ওভারে মার্করামকে ফেরান হর্ষিত। কিন্তু রানের গতি আর থামল কোথায়? মার্শকে সঙ্গ দিতে নামলেন পুরান। দুজনেই আগুনে ফর্মে আছেন এবার। পন্থের ব্যর্থতা এখনও বুঝতে দেননি তাঁরা। একা মার্শকে সামলাতে জেরবার নাইট বোলিং রীতমতো হিমশিম খেল পুরানের আগমনে।
শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৮১ রান করে ফিরলেন মার্শ। তাঁর উইকেট নিলেন আন্দ্রে রাসেল। যাঁকে দিয়ে কেন এবার বল করানো হচ্ছে না, এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন হচ্ছে। উত্তরটা পাওয়া গেল ১৮তম ওভারে। রাসেলের ওই ওভারে দুটি ছক্কা ও তিনটি চার-সহ মোট ২৪ রান তুললেন পুরান। তবু মন্দের ভালো বৈভব ও বরুণ চক্রবর্তী। একটা সময় মনে হচ্ছিল, মার্শের অধরা সেঞ্চুরিটা পুরানের খাতাতেই লেখা হবে। শেষ পর্যন্ত ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবিয়ান তারকা। পন্থ ফর্মে ফিরলেন কি না, সেটা আর জানা হল না ক্রিকেটভক্তদের। লখনউ থামে ২৩৮ রানে। পাহাড়প্রমাণ রান টপকাতে হলে এবার নাইটদের অনেক কিছুই প্রমাণ করতে হবে।