সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি কাজ ও টাকার লোভে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি এমনভাবে সাজানো হয় যে, তা স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই ভাবে সবাই। তবে শেষ পর্যন্ত কাণ্ড সামনে চলে আসে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরেক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম দীপক কুমার। তিনি রেলের টেকনেশিয়ান হিসাবে কর্মরত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের নাজিবাবাদে। আদতে তিনি বিজনরের বাসিন্দা। স্ত্রী শিবানী ও ছয় মাসের সন্তান নিয়ে নাজিবাবাদে ভাড়া থাকছিলেন।
দিনকয়েক আগে দীপকের স্ত্রী পরিবারকে জানান, বাড়িতে পুজো চলাকালীন হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান তাঁর স্বামী। শ্বশুড়বাড়িকে শিবানী বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দীপক। কিন্তু আগে থেকে দীপকের এই রকম কোনও সমস্যা না থাকায় সন্দেহ বাড়ে পরিবারের। তাঁরা দীপকের ময়নাতদন্ত করান। ৬ এপ্রিল আসা সেই রিপোর্ট আসতেই চক্ষুচড়ক গাছ পরিবারের। সেখানে উঠে আসে শ্বাসরোধের জেরে মৃত্যু হয়েছে দীপকের। এরপরই তাঁর পরিবার শিবানী ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।
দীপকের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলের চাকরি পেতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় শিবানীকে সাহায্য করেছে তাঁর পরিচিত যুবক। দীপকের ভাই পিযূজ বলেন, "আমাকে ফোন করে জানানো হয়, দাদা অসুস্থ। হাসপাতালে গেলে জানতে পারি দাদা মারা গিয়েছেন।" মৃতার মা অভিযোগ করেছেন, "ছেলের চাকরি পেতেই ওকে খুন করা হয়েছে। এই কাজে শিবানী একা নয়। ওকে অন্য কেউ সাহায্য করেছে।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিবানী স্বীকার করেছেন যে ঘটনার দিন সে দীপককে ঘুমের ওষুধ দেয়। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। এই কাণ্ড ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ ছাদে ঘোরাঘুরি করে শিবানী। সেই সময় মৃতের পরিবারকে ফোন করে মিথ্যা কথা বলে। তারপর দীপককে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দীপকের কাকা বিশাল বলেন, "আমার ভাইপোকে খুন করা হয়েছে। ওঁর স্ত্রী ওকে খুন করেছে। শিবানী এই দোষ একার কাঁধে নিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এই ঘটনায় ওকে ওর প্রেমিক সাহায্য করেছে। দীপকের চাকরি ও টাকা হাতানোর জন্য এই খুন করা হয়েছে। শিবানীর উপযুক্ত শাস্তি চাই।" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।