সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষককে বিয়ে করেও সুবিচার পেলেন না নির্যাতিতা। বিয়ের পরেই তিন তালাকের সুযোগ নিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ সেরে ফেলল ধর্ষক। হুমকি দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হল ডিভোর্স পেপারে। একদিকে রাজ্যসভায় যখন তিন তালাকের বিল নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই আরও এক তরুণী তিন তালাকের শিকার হলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে। ইতিমধ্যেই ধর্ষক স্বামীর শাস্তি চেয়ে পুলিশে অভিয়োগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। পাশাপাশি নিজের প্রতি হওয়া অবমাননার সুবিচারও দাবি করেছেন।
[মহাভারতের ‘জতুগৃহ’র খোঁজ পেতে খনন শুরু উত্তরপ্রদেশের বাগপতে]
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই স্ত্রী ও শ্বশুরমাশাইকে সঙ্গে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ধর্ষক। গ্রামের অদূরে একটা রুক্ষ প্রান্তরে বাবা-মেয়েকে আটকে রেখে হুমকি দেওয়া হয়। মুখে মুখে তিন তালাক দেয় স্ত্রীকে। তারপর জোর করে বিচ্ছেদের কাগজপত্রে সই করিয়ে নেয়। পুরো পরিকল্পনামাফিক কাজটি করে ‘ধর্ষক’ স্বামী।
জানা গিয়েছে, নিজের গ্রমেই ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ওই তরুণী। বেশ কিছুদিন লোকলজ্জার ভয়ে ঘরবন্দি থাকেন নির্যাতিতা। অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে একটা সময় হাপুর থানায় অভিযোগ জানাতেও যান। পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করে। কেননা অভিযুক্তের পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল। সামাজিকভাবেও যথেষ্ট উচুঁ দরের। এদিকে সম্মানহানি আটকাতে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে নির্যাতিতার পরিবারকে সমঝোতায় আসতে বলা হয়। উপায়ান্তর না দেখে অভিযুক্তের পরিবারের ইচ্ছেকেই স্বাগত জানায় নির্যাতিতার পরিবার। সালিশি বসে গ্রামে। ঠিক হয় নির্যাতিতাকে বিয়ে করবে অভিযুক্ত ধর্ষক। বিয়েও হয়ে যায়। এখানেই বিষয়টি মিটে যায়নি। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শারীরিক মানসিক অত্যাচারের মুখে পড়েন নির্যাতিতা। মাঝেমাঝেি তিন তালাকের হুমকি দেওয়া হত।
এই প্রসঙ্গে হাপুর থানার এসএসপি রাম মোহন সিং জানিয়েছেন, তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।