সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া স্টেশন থেকে ফের উদ্ধার বিপুল টাকা। এবার রেলপুলিশের অপরাধ দমন শাখা ৩৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে বিপুল টাকা নিয়ে হাওড়া স্টেশনে এসেছিল সে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক যুবককে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফের। এরপর যুবককে ধরে ব্যাগ তল্লাশি করতেই বেরিয়ে পড়ে বান্ডিল বান্ডিল নোট। এরপরেই তাকে আটক করে পোস্টে এনে দেখা যায় ব্যাগে ৩৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। আরপিএফের অনুমান, হাওলার টাকা এগুলি। এরপরেই সেই টাকা আয়কর বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃতের নাম রাজকুমার বিন্দ। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের লোহাডির বাসিন্দা। শুক্রবার ভোরে রায়বেরিলি-হাওড়া এক্সপ্রেসে হাওড়া এসে পৌঁছয়। তার ব্যাগ হাতড়াতেই চক্ষু চড়কগাছ আরপিএফের।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের বাবার করা মানহানির মামলায় শুভেন্দুকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ আদালতের]
উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্টের শুরুতে চম্বল এক্সপ্রেসের যাত্রীর ব্যাগ থেকে পাওয়া গেল নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা। হাওড়া স্টেশনে ট্রেনটি আসার পর আরপিএফ তল্লাশি চালানোর সময় সন্ধান মেলে এই টাকার। আটক করা হয় এক ব্যক্তিকে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ওই মাসের মাঝামাঝি সময়ে মোট সাড়ে ৩৮ লক্ষ টাকা পায় আরপিএফ। হাওড়া (Howrah) স্টেশনের ওল্ড কম্পপ্লেক্সের ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ইতস্ততভাবে ঘুরছিল দুই যুবক। তাঁদের হাতে কালো রঙের ব্যাগ ছিল। অনেকক্ষণ ধরে প্লাটফর্মেই হাঁটাচলা করছিলেন তাঁরা।
বেশ কিছুক্ষণ ওই যুবকদের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিলেন কর্তব্যরত আরপিএফ। এরপর যুবকদের জেরা করে তারা। তখনই ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ব্যাংককর্মীদের। মেশিন এনে শুরু হয় টাকা গোনা। ওই যুবকের কাছে থাকা দুটো ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় মোট সাড়ে আটত্রিশ লক্ষ টাকা। এরপরই ওই দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকদের মধ্যে একজন বিহার এবং অপরজন উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা। মাত্র মাসতিনেকের ব্যবধানে ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।