সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের সামনে দু’টি চেয়ার। অথচ হলঘরে প্রবেশ করেছেন তিনজন। দেখা গেল তাঁদের মধ্যে দু’জন পুরুষ চেয়ারে বসে পড়েছেন। মাঝখানে তথৈবচ হয়ে দাঁড়িয়ে মহিলা। ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁর মুখ দিয়ে ‘অ্যাঁ’ জাতীয় শব্দবন্ধও বেরিয়ে গেল। দাঁড়িয়ে থাকা মহিলা ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম মহিলা সভাপতি উরসুলা ভনডের লিয়েন (Ursula von der Leyen)। সেই তিনিই কিনা আসন পেলেন না! এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠছে, মহিলা হওয়াতেই কি চেয়ার পেলেন না তিনি? কেন একজন মহিলাকে দাঁড় করিয়ে রেখে পুরুষরা বসে পড়লেন প্রশ্ন উঠছে সেটা নিয়েও।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা তুরস্কে (Turkey) গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মাইকেল। বুধবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়ইপ এরদোগানের (Recep Tayyip Erdogan)। সেইমতো তাঁরা তিনজন বৈঠকের জন্য হলঘরে প্রবেশও করেন। তারপরই দেখা গেল বিপত্তি। ফাঁকা দুই চেয়ারে বসে পড়েন বৈঠকের দুই পুরুষ সদস্য। মাঝখানে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন উরসুলা। পরে অবশ্য দেখা যায়, তাঁকে একটি সোফা দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’র মঞ্চে মুকুট নিয়ে টানাটানি! সুন্দরীদের লঙ্কাকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল]
কেন এভাবে বৈঠকে তিনটির জায়গায় দু’টি চেয়ার রাখা হল তা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। ইউরোপীয় কমিশন এমন ঘটনায় নিন্দায় মুখর হলেও এখনও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে তুরস্ক। কিন্তু তারা মন্তব্য না করলেও নেটিজেনরা সরব হয়েছেন। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #GiveHerASeat। অনেকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন চার্লস মাইকেলকেও। তাঁদের মতে, যতক্ষণ তৃতীয় চেয়ারটি না আনা হচ্ছিল, ততক্ষণ মাইকেলেরও উচিত ছিল দাঁড়িয়ে থাকা।
ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র বিষয়টির নিন্দা করে বলেন, ”কমিশনের প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতি দেখে হকচকিয়ে যান। ভিডিওতে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতির মতোই প্রোটোকল দেখানো উচিত ছিল কমিশনের সভাপতির ক্ষেত্রেও।”