সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার থেকে আমেরিকায় (US) শুরু হচ্ছে 5G সি ব্যান্ড পরিষেবা। কিন্তু ইতিমধ্যেই মার্কিন যাত্রীবাহী ও কার্গো বিমান সংস্থাগুলির তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে, এর ফলে বিমান চলাচলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। তাই আরজি জানানো হয়েছে, এবিষয়ে যেন এফএএ তথা দেশের বিমান পরিষেবা দপ্তর জরুরি হস্তক্ষেপ করে। প্রসঙ্গত, একই আপত্তি জানাতে দেখা গিয়েছে ভারতের বিমানচালকদেরও।
ঠিক কী জানিয়েছে মার্কিন উড়ান সংস্থাগুলি? আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, আলাস্কা এয়ার, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। জেট ব্লু এয়ারওয়েজ। ফেডএক্স এক্সপ্রেস, সাউথইস্ট এয়ারলাইন্স ও আরও বহু প্রথম সারির উড়ান সংস্থাগুলিকে নিয়ে তৈরি ‘এয়ারলাইন্স অফ আমেরিকা’র তরফে লেখা একটি চিঠিতে মার্কিন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, ‘‘আমাদের অনুরোধ ৫জি জরুরি ভিত্তিতেই দেশের সর্বত্র চালু হোক ১৯ জানুয়ারি। কেবল বিমানবন্দরের রানওয়ের থেকে মোটামুটি ২ মাইল (৩.২ কিমি) এলাকা বাদ রাখা হোক। কেননা ৫জি পরিষেবার ফলে ক্ষতি হতে পারে উড়ান শিল্প, পর্যটক, সরবরবার চেইন, টিকা বণ্টন, আমাদের কর্মপ্রণালী ও বৃহত্তর অর্থনীতির।’’
[আরও পড়ুন: অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির ধাক্কায় বেসামাল টোঙ্গা, বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রটির]
প্রসঙ্গত, এর আগে যদিও মার্কিন প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছিল যে প্রয়োজনমতো দেশের ৫০টি বিমানবন্দরে বাফার জোন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু উড়ান সংস্থাগুলি নিশ্চিত হতে পারছে না, সত্যিই তা কতটা কার্যকর করা হয়েছে। তাই ক্রমশই বাড়ছে উদ্বেগ।
বিমানের উড়ান পরিষেবা বনাম ৫জি— এই বিতর্ক ভারতেও পৌঁছেছে। গত ৪ জানুয়ারি ভারতীয় বিমানচালকদের সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস’-এর তরফে কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে একটি চিঠি লেখা হয়। সেই চিঠিতে সংগঠনের সভাপতি সুরিন্দর মেহতা আর্জি জানান, ট্রাই ও ডিজিসিএ যেন একসঙ্গে পরিকল্পনা করেই দেশে সি ব্যান্ড ৫জি মোবাইল পরিষেবা শুরু করে। বিমান সুরক্ষা প্রণালীর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত রেডিয়ো অল্টিমিটারের সঙ্গে ৫জি সিগন্যাল ইন্টারফেয়ারেন্সের সম্পর্ক বোঝা এবং সেই অনুযায়ী তা কম রাখার পক্ষেই সওয়াল করা হয়েছে ওই চিঠিতে।