সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি৷ মঙ্গলবার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ আচমকাই হ্যালির এর সিদ্ধান্তে রীতিমতো তোলপাড় মার্কিন কুটনৈতিক মহল৷ শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা৷
[রাজস্থানে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ২২, হাই অ্যালার্ট রাজধানী দিল্লিতেও]
বিবিসি সূত্রে খবর, হ্যালির পদত্যাগ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত৷ তবে কেন তিনি এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন তা এখনও খোলসা করেননি হ্যালি৷ এই বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিকি অসম্ভব ভাল কাজ করেছেন। চলতি বছরের শেষ অবধি নিকি তাঁর কাজ সামলাবেন। আগামী বছরের শুরুতে নতুন লোক নেওয়া হবে।” ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ইস্তফা দেওয়ার কথা নিকি তাকে ছ’মাস আগে জানিয়েছিলেন। ইস্তফাপত্রে নিকি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। এবং লিখেছেন, “২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন বলে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন নিকি। এর আগে প্রথম মহিলা হিসাবে সাউথ ক্যারোলিনার গভর্নর নির্বাচিত হন তিনি।
কূটনীতি ও বিদেশনীতির বিষয়ে অত্যন্ত স্বল্প অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নিকি হ্যালির নিয়োগ আগেই আমেরিকায় বিতর্ক উসকে দিয়েছিল। সম্প্রতি প্যালেস্তাইন ইস্যুতে তাঁর বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কিছুটা বিবাদের জড়িয়ে পড়েন হ্যালি। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা ল্যারি কুডলি বলেছিলেন, হ্যালি তাঁর নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কথা বলছেন। কূটনীতিবিদরা মনে করছেন ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের জন্যই নিকির পদত্যাগ৷
উল্লেখ্য, মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক মাইকেল উলফের ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ বইয়ে উঠে এসেছে নিকি হ্যালির সঙ্গে ট্রাম্পের প্রেমের প্রসঙ্গ। লেখকের দাবি, এয়ারফোর্স ওয়ান ও ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটিয়েছেন নিকি। বইটি প্রকাশ পাওয়ার পর এনিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা৷ একপ্রকার বাধ্য হয়েই মুখ খুলেছিলেন হ্যালি৷ ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি উড়িয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, সমস্ত অভিযোগই মিথ্যে। এহেন অভিযোগ অত্যন্ত অপমানজনক ও জঘন্য। তবে হ্যালির পদত্যাগে ফের নতুন করে উসকে দিল জল্পনা৷
[অবাক কাণ্ড! রুইয়ের পেট থেকে বেরল সোনার নথ ]