সুকুমার সরকার, ঢাকা: নির্বাচনে কারচুপি ও হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে ভোটে বিরোধীদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগও রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ‘নিশ্চিত করতে’ চলতি মাসেই ঢাকা সফরে আসছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারটি প্রতিনিধিদল।
আগামী সাধারণ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে বরাবরই সরব আমেরিকা ও ইউরোপ। এবার জুলাই মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারটি প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে। এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসছেন অসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। তৃতীয় সপ্তাহ বা কাছাকাছি সময়ে আসার কথা রয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজের। একই সময়ে আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দু’টি প্রতিনিধিদল।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আগেও সরব হয়েছে আমেরিকা (America)। গত মে মাসে শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। যা নিয়ে ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। ওই ভিসা নীতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকার বা বিরোধী পক্ষের যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারচুপি, হিংসা বা আতঙ্ক ছড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ থাকবে, তাঁকে ও তাঁর পরিবারের কাউকে আমেরিকার ভিসা দেওয়া হবে না। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সরকারি কর্মচারী, আমলা বা পুলিশ অফিসাররাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
[আরও পড়ুন: ইদের ছুটি শেষে বাংলাদেশে রপ্তানি শুরু ভারতের, সাতক্ষীরা দিয়ে পৌঁছল ৬ ট্রাক কাঁচালঙ্কা]
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ৩৩ জন পুলিশ আধিকারিক ও আওয়ামি লিগের ১০ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় দেশের প্রদান বিরোধী দল বিএনপি। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাঁধা, হামলা ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিদেশি দূতাবাস, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলির কাছে ছ’টি ঘটনার তথ্য পাঠায় দলটি। আরও বেশ কয়েকটি ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে তারা বলেও খবর।