সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা (China) আগ্রাসনের আশঙ্কায় ত্রস্ত তাইওয়ান (Taiwan)। যে কোনও মুহূর্তে সাগর পেরিয়ে বাঁধ ভাঙা জলের মতো ধেয়ে আসতে পারে কমিউনিস্ট দেশটির চতুরঙ্গ বাহিনী। এই অবস্থায় তাইওয়ানকে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ার দেওয়ার কথা ঘোষণা করল আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত জুলাই মাসে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে লালফৌজ। গত আগস্ট মাসে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপে হানা দিয়েছে চিনা ড্রোন। এবার দ্বীপরাষ্ট্রকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ওয়াশিংটন। এর মধ্যে রয়েছে ৬০টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০টি আকাশ থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। মনে করা হচ্ছে, এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে চিনকে ফের বার্তা দিল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: বিহারের বদলা মণিপুরে! নীতীশকে চমকে বিজেপিতে ৫ জেডিইউ বিধায়ক]
স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছে না বেজিং। ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনে চিনা রাষ্ট্রদূত লিউ পেংজিউ হুমকির সুরে বলেছেন, এই ঘটনায় মার্কিন-চিন সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়বে। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই শি জিনপিং সরকার জানিয়ে দেয়, তারা হংকংয়ের মতোই তাইওয়ানেও যে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা তারা ফিরিয়ে নিচ্ছে।
ঠিক কী ছিল সেই প্রতিশ্রুতি? ২০০০ সালে যে শ্বেতপত্র চিন প্রকাশ করেছিল, সেখানে জানানো হয়েছিল, যদি কখনও তারা দ্বীপরাষ্ট্রটি দখল করে তাহলে সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করবে না। সেখানে থাকবে স্বশাসিত সরকার। কিন্তু এবার বেজিং জানিয়ে দিল, এই প্রতিশ্রুতি তারা আর দিচ্ছে না। এরই পাশাপাশি চিন জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক এই ইস্যুতে কোনও তৃতীয় তৃতীয় পক্ষের উসকানি সহ্য করা হবে না। এই বিবৃতি থেকে পরিষ্কার, তারা আমেরিকার উপরেও চাপ বজায় রাখতে চাইছে।