সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাশিয়া। পালটা, জেলেনস্কি বাহিনীকে আরও হাতিয়ার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। প্রায় আট মাস ধরে চলা যুদ্ধে এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি রুশ ফৌজ। তুলনামূলক ভাবে ‘লিলিপুট’ ইউক্রেনীয় সেনার এহেন ‘বীরত্বে’ অনেকেই মনে করছেন আসলে ময়দানে লড়াই হচ্ছে আমেরিকা বনাম রাশিয়ার।
শুক্রবার রাশিয়ার উপর চাপ বৃদ্ধি করে ইউক্রেনকে ৭২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) অস্ত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। এই বিষয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মতো আমরা আমাদের সেনার অস্ত্রভাণ্ডার থেকে ইউক্রেনকে ৭২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে এপর্যন্ত তেইশবার ইউক্রেনকে অস্ত্র জোগান দিয়েছি আমরা।” তিনি আরও বলেন, “অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় লড়াই করছে ইউক্রেন। আমরা তাদের পাশে আছি। আমরা যে ক্ষমতা ইউক্রেনের হতে তুলে দিচ্ছি তার ফলে যুদ্ধেক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়বে।”
[আরও পড়ুন: বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সমালোচনায় নিষেধাজ্ঞা জারি বেজিংয়ের!]
এদিকে, ন্যাটো জোটের সঙ্গে রুশ ফৌজের সরাসরি সংঘাত হলে চরম বিপর্যয়ের মুখে বিশ্ব পড়বে বলে হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, “যদি কোনওভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে ন্যাটো বাহিনী ও রাশিয়ার সেনার মধ্যে সরাসরি সংঘাত তৈরি হয়, তাহলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বিশ্ব। আমি আশা করছি যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা এমন পদক্ষেপ করবেন না।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রুশ ভূখণ্ডের সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এই ঘটনায় সরাসরি ইউক্রেনকে (Ukraine) দায়ী করেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, “এই ঘটনাটি আসলে জঙ্গি আক্রমণ। ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তরের কারসাজির ফলেই সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।” প্রতিশোধ নিতেই গত কয়েকদিনে কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। তাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। তবে ইউক্রেনে আর বড়সড় আক্রমণের প্রয়োজন নেই বলেই আস্তানা থেকে দাবি করেছেন পুতিন।