সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) এখন তালিবানের শাসনাধীন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চ তাকে মান্যতা দেয়নি এখনও। বিভিন্ন শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে জঙ্গিবাহিনী আলোচনার টেবিলে বসলেও তা বিশেষ এগোয়নি। এই অবস্থায় তালিবানকে (Taliban) পাশ কাটিয়েই আফগানবাসীর জন্য সাহায্যের হাত বাড়াল আমেরিকা (US)। আফগানিস্তানে ১৪৪ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্য পাঠাচ্ছে বাইডেন সরকার। বৃহস্পতিবার এই সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন বিদেশসচিব (Secretary of State) জানিয়েছেন, এই সাহায্য সরাসরি স্বশাসিত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যারা মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে, তাদের মাধ্যমে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে ইউনাইটেড নেশনস, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংগঠন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো সংগঠনের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব ব্লিঙ্কেন। তাঁর কথায়, ”এই অর্থ ১৮ মিলিয়ন আফগানবাসীর কাজে লাগবে। এঁদের মধ্যে উদ্বাস্তুরাও রয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁদের অবস্থা খুবই খারাপ।” বিঙ্কেন জানান, খাদ্য, স্বাস্থ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোভিড মোকাবিলার মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এই অর্থ কাজে লাগানো হবে।
[আরও পডুন: খাদ্যসংকট চরমে, দেশবাসীকে কম খাওয়ার নির্দেশ উত্তর কোরিয়ার ‘একনায়ক’ কিম জং উনের]
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। ২০২১ সালে আফগানিস্তানকে দেওয়া আমেরিকার আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে মোট ৪৭৪ মিলিয়ন ডলার, যা যে কোনও আন্তর্জাতিক সাহায্যের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। তবে শর্ত একটাই, শাসকদল তালিবান মারফত নয়, সরাসরি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে তা অসহায় মানুষজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
[আরও পডুন: উদ্বেগ কাটছে না দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বাস্থ্য নিয়ে, গ্লাসগো সম্মেলনেও থাকছেন না রানি]
এ প্রসঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেনের সাফ কথা, ”স্পষ্ট করেই জানানো হচ্ছে, এই সাহায্য শুধুই সাধারণ আফগানিবাসীর জন্য, তালিবানের জন্য নয়। তালিবানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে।” বিদেশসচিবের এই বক্তব্যে অন্য একটি দিক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে। অনেকের প্রশ্ন, তালিবানকে এড়িয়ে দেশবাসীকে সরাসরি আর্থিক সাহায্য করার এই সিদ্ধান্ত কি ফের আফগানভূমে মার্কিন দাপট কায়েম করার কৌশল?