সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে ভারতের পাশে থাকবে মার্কিন ফৌজ। হোয়াইট হাউসের এক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মারফত এমনই দাবি করেছে ‘Fox News’। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্তার বয়ান, চিনের পার্শ্ববর্তী যারাই আছে, তারা চিনা আগ্রাসন থেকে নিরাপদ নয়।
[আরও পড়ুন: জিনপিংয়ের জাপান সফরে আপত্তি, প্রধানমন্ত্রী আবের উপর চাপ বাড়াল শাসকদল]
গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আমেরিকা। অতি আগ্রাসী মনোভাবের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছে বেজিং। আমেরিকার সঙ্গে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, এমনকী ন্যাটো (NATO) জোটও চিনকে (China) সতর্ক করেছে। এহেন সময়ে, হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ বলেছেন, “চিন বা অন্য কোনও দেশ সর্বশক্তিমান হয়ে বিশ্বের লাগাম নিজেদের হাতে নেবে, এমনটা আমরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখব না। তা সে এই অঞ্চলেই হোক বা অন্য কোনও অঞ্চলে।” মিডোজ আরও বলেন, “আমাদের সামরিক ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তা অটুট থাকবে। তা সে ভারত-চিন সংঘাতই হোক বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে। দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া যে বিশ্বে আরও বড় শক্তি রয়েছে।”
উল্লেখ্য, পূর্ব লাদখে চিনা আগ্রাসন ও গালওয়ানে (Galwan) সংঘর্ষের আবহেই চিনের বিরুদ্ধে নয়া ফ্রন্ট খুলে দক্ষিণ চিন সাগরে দু’টি রণতরী পাঠিয়েছে আমেরিকা। সেখানে সামরিক মহড়া করবে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ‘USS Nimitz’ ও ‘USS Ronald Reagan’। ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে আবহে আমেরিকা নয়া ফ্রন্ট খোলায় রীতিমতো সাঁড়াশি চাপে পড়েছে বেজিং।
এদিকে, প্রায় গোটা বিশ্বের সঙ্গে লড়াইয়ে নেমে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে শি জিনপিং প্রশাসন। তাই পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে বাধ্য হয়ে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে লালফৌজ। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং লি-র মধ্যে বৈঠকের পর মঙ্গলবার থেকে গালওয়ান ও গোগরা অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে চিন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে অনুকূল নয় তা স্পষ্ট বুঝতে পারছে বেজিং।
[আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের পুনর্বিবেচনা চান না কুলভূষণ, সন্দেহ উসকে দাবি পাকিস্তানের]
The post চিনের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধলে ভারতের পাশে থাকবে মার্কিন ফৌজ, ইঙ্গিত হোয়াইট হাউসের appeared first on Sangbad Pratidin.