সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব সিরিয়ায় (Syria) বিমানহানা চালাল মার্কিন সেনা। সিরিয়া সীমান্তে ইরানের (Iran)মদতপুষ্ট জঙ্গি শিবির লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউসের (White House)পক্ষ থেকে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) নির্দেশে সিরিয়ার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সন্ধেবেলায় ওই হামলা চালানো হয়। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি উত্তর ইরাকে যে হামলা চালানো হয়েছিল তার জবাব দিতেই এই পালটা আক্রমণ আমেরিকার। ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ওই হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছিলেন। পূর্ব সিরিয়া সীমান্তে কাতা ইব হিজবুল্লা, কাতা ইব সইদ-আল-শুহাদার মতো একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটি রয়েছে। মার্কিন সেনা সেই ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বাইডেন প্রশাসনের তরফে। ওয়াশিংটনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, আমেরিকা ও তার সহযোগীদের উপর ইরাকে যে হামলা হয়েছিল, তার জবাব দিতেই এই হামলা। পাশাপাশি পূর্ব সিরিয়া ও ইরাকের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনাও লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের, প্রশংসা রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের]
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উত্তর ইরাকে অবস্থিত এরবিল বিমান বন্দরের কাছে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল শিয়া জঙ্গিরা। মারা গিয়েছিলেন একজন কন্ট্রাক্টর। আহত হয়েছিলেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন মার্কিন সেনা আধিকারিক। যে শিবির থেকে রকেট লঞ্চারে হামলা চালানো হয়েছিল, বৃহস্পতিবারের হামলায় মার্কিন সেনা সেই জঙ্গি শিবিরটিও ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় আমেরিকা। তারপর থেকে সম্পর্কে ক্রমাবনতি হয়েছে দুই দেশের। বাইডেনের আমলে ফের সেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সিরিয়ায় মার্কিন হামলার ফলে সেই সম্ভাবনা কমে গেল কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হল।