সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিণয় তো জীবনের অন্যতম সেরা একটা পর্ব। কিন্তু লম্বা জীবনে দু,তিনটে দিন মাত্র উপভোগেই কি সীমাবদ্ধ হয়ে যায় বিয়ের বিশেষ পর্ব? না, এমনটা ঠিক চাননি মার্কিন যুগল নিক এবং জোয়ি।প্রথম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে বিয়ের রাতেই ব্লু প্রিন্ট ছকে ফেলেন। এক বছর পর শুরু হয় তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পর্ব – বিশ্বভ্রমণ। ন’মাসে ৩৩টি দেশ ঘুরে বিখ্যাত জায়গার সামনে ছবি তুলে তৈরি করলেন বিবাহবার্ষিকীর অ্যালবাম। আরও বিশেষত্ব, বিয়ের সেই গাউন পরেই এক বছর পর সব’কটি ছবি তুললেন জোয়ি।
পোপ-ইমামের পবিত্র চু্ম্বন, নজিরবিহীন বিশ্বশান্তির বার্তা দুই ধর্মীয় গুরুর
স্বপ্ন সফল করার বীজটা পোঁতা হয়ে গিয়েছিল আসলে অনেকদিন আগে। ২০১৬ সালে নিউ জার্সির বাসিন্দা নিক এবং জোয়ি ডেটিংয়ের প্রথমই দিনই পরিকল্পনা করেছিলেন, যদি সম্পর্কে আবদ্ধ হয়, তাহলে একদিন তাঁরা দুজন মিলে বিশ্বভ্রমণ করবেন। ধীরে ধীরে গভীর হয় সম্পর্ক। বাগদান পর্ব সেরেই বিয়ের দিনের অপেক্ষা করতে থাকেন ২৪ বছরের নিক এবং ২৭ বছরের জোয়ি। একবছর পরই সাদা গাউন আর স্যুটে গির্জায় গিয়ে একে অপরের জীবনসঙ্গী হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু তারপরই জোয়ির মনে হয়, বিয়ের জন্য তৈরি অত দামি গাউনটি মাত্র একদিনের জন্য পরনে উঠবে, তা কি মেনে নেওয়া যায়? কাজেই, বিয়ের পোশাকটি আবার নতুন করে পরতে শুরু হয়ে যায় পরিকল্পনা। তখনই বিদ্যুৎ চমকের মতো মাথায় আসে সেই প্রথমদিনের পরিকল্পনা। এই সুযোগেই তো বিশ্বভ্রমণ হয়ে যায়। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। দীর্ঘ সফরের জন্য গুছিয়ে ফেলা বাক্সপ্যাঁটরার মাঝেই ঢুকে যায় জোয়ির বিয়ের গাউন। এরপর হাতে হাত রেখে বেরিয়ে পড়েন দম্পতি।
ইসরোর সাফল্য, মুমূর্ষু ‘ইনস্যাট’-এর জায়গা নিচ্ছে জি স্যাট-৩১
২০১৮ সালে থাইল্যান্ডে থেকে যাত্রা শুরু করে জোয়ি বলেন, ‘জীবন তো খুবই ছোট আর পৃথিবীটা অনেক বড়। একটা জায়গায় বসে থেকে এই কম সময়টা নষ্ট করার অর্থ নেই। আর বিয়ের পোশাক পরার মতো আনন্দও জীবনে খুব একটা আসে না। তাই এই সুযোগে আমি আবার গাউনটা বিশেষ বিশেষ জায়গায় পরব।’ আর নিক বলছেন, ‘সম্পর্কের প্রথম দিনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমরা একসঙ্গে ঘুরব। বিয়ের এক বছরের মাথায় সেই প্রতিজ্ঞা পূরণে বেরিয়ে পড়লাম।’
আগ্রার তাজমহল, তুষারশুভ্র হিমালয়, প্যারিসের বিখ্যাত আইফেল টাওয়ার, চিনের প্রাচীরের মতো বিশ্বের বিখ্যাত সব জায়গায় দুধসাদা গাউনের জোয়ি আর লাল-কালো-সাদা জামায় নিকের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা কুড়োচ্ছে দেদার। ফটো শ্যুটের তালিকায় আরও আছে – বার্সেলোনার ক্যাথিড্রাল, রোমের অ্যাম্ফিথিয়েটার, জাপানের বাঁশবাগান, শ্রীলঙ্কার সৈকত, গ্রিসের অসামান্য ভাস্কর্য, আরবের ধূ ধূ মরুভূমি, বুর্জ খলিফা। সর্বত্রই জোয়িকে দেখা গিয়েছে বিয়ের গাউনে। এত দেশ, এত বৈচিত্র্য দেখেশুনে দম্পতির বার্তা, ‘নিজেদের শখ পূরণ করতেই ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। এখন বুঝতে পারছি, কত সুন্দর পৃথিবীটা। সবাইকে বলছি, একজায়গায় বসে থেকে দিনগুলো নষ্ট করবেন না। ঘুরে বেড়ান।’ নিজেদের মতো অন্যান্য নবদম্পতিদের উৎসাহিত করতে নিজেদের ব্যতিক্রমী মধুচন্দ্রিমার অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন নিক-জোয়ি।