সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও থিতিয়ে যায়নি ‘ফিস্ট বাম্প’ বিতর্কের জের। তার মাঝেই সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গি হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনকে ‘ক্লিন চিট’ দিল আমেরিকার আদালত। ফলে প্রশ্ন উঠছে, অস্ত্রের বেসাতি কি ঢাকল সাংবাদিকের মরণযন্ত্রণা?
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন ‘ওয়াশিংটন পোস্টের’ কলামিস্ট জামাল খাশোগ্গি (Jamal Khashoggi)। দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সৌদি রাজ পরিবারের পাশাপাশি সে দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগ্গির খুনের পরেই সরব হয় তুরস্ক-সহ একাধিক দেশ। এই হত্যাকান্ডে সলমনকে দায়ি করেছিল আমেরিকাও। সম্প্রতি, সৌদি যুবরাজকে কাঠগড়ায় তুলে ওয়াশিংটনের একটি আদালতে মামলা করেছিলেন খাশোগ্গির স্ত্রী হ্যাটিস সেঙ্গিজ ও মানবাধিকার সংস্থা ‘DAWN’।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণ মানে কী? উত্তর খুঁজতে উত্তাল সুইজারল্যান্ড]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সেই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারক জন বেটস জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। তাই মার্কিন সরকারের যুক্তি, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সলমনের রক্ষাকবচ রয়েছে। আমেরিরা আইনে তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা যায় না। ফলে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন বিচারক বেটস একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘খাশোগ্গির স্ত্রী হ্যাটিস সেঙ্গিজ ও মানবাধিকার সংস্থাটির করা মামলার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত জলাই মাসে যুবরাজ সলমনের (MBS) সঙ্গে ‘ফিস্ট বাম্প’ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশ্য, তারপরই ভোলবদল করে খাশোগ্গি হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজকে সরাসরি দায়ী করেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরব মার্কিন অস্ত্রের বড় খদ্দের। এছাড়া, ইরানের উপর চাপ বজায় রাখতে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি সমর্থন অত্যন্ত জরুরি। তাই মুখে যাই বলা হোক না কেন, অনিচ্ছা সত্ত্বেও রিযাধকে কিছুটা ছাড় দিতে বাধ্য ওয়াশিংটন। এবং ভারসাম্য রক্ষার সেই কাজই করে যেতে হচ্ছে বইডেনকে।