সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ফেরত গেলেই প্রবল অত্যাচারের শিকার হতে হবে! এই মর্মে আবেদন জানিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল তাহাউর রানা। কিন্তু ২৬/১১ হামলার মূল অভিযুক্তের আর্জি খারিজ করে দিল মার্কিন আদালত। অর্থাৎ আমেরিকায় আর আশ্রয় মিলবে না কুখ্যাত জঙ্গির। রানার ভারতে প্রত্যর্পণ এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া চলছে দুই দেশের মধ্যে, খবর সূত্রের।
গতমাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই যে আমার সরকার ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বের ভয়ঙ্করতম মানুষগুলোর মধ্যে অন্যতম ওই ব্যক্তি ভারতের বিচারব্যবস্থার সম্মুখীন হবে।”
প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রানা। তার আইনজীবীর দাবি, ভারত সরকার স্বৈরাচারী। তাই ‘পাকিস্তানি মুসলিম’ রানার বিচারপ্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না। মুসলিম পরিচয়ের কারণেই নাকি রানার উপর অত্যাচার হবে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারপ্রক্রিয়ার ধকলও নিতে পারবে না মুম্বই হামলার মূলচক্রী। বিজেপি জমানায় ভারতে মুসলিমদের অবস্থা খারাপ হয়েছে, এমন একটি রিপোর্টকেও হাতিয়ার করেছে রানার আইনজীবী।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ছিল রানার কাছে শেষ আশা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আশাও শেষ। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হল রানার আবেদন। তাই আমেরিকায় থেকে যাওয়ার অনুমতি পাবে না কুখ্যাত জঙ্গি। ফলে ভারতে প্রত্যর্পণ ছাড়া আর কোনও পথ নেই মুম্বই হামলার মূলচক্রীর সামনে। সূত্রের খবর, ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চলছে। যেহেতু রানাকে আমেরিকায় আর আশ্রয় দেওয়া হবে না, তাই খুব তাড়াতাড়িই তাকে ভারতে ফিরিয়ে এনে বিচার শুরু হবে বলে সূত্রের খবর।
