সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের যতিচিহ্ন মৃত্যুতে। মৃত্যুর ওপারে কী আছে? সত্যিই কি সব শেষ হয়ে যায়? নাকি মৃত্যুর (Death) পরে শুরু হয় এক অন্য জীবন? এ এমন এক প্রশ্ন, যার উত্তর আজও মেলেনি। তবে মাঝেমধ্যেই নানা দাবি করতে দেখা যায় অনেককে। এবার মার্কিন এক ক্যানসার বিশেষজ্ঞ দাবি করলেন, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা প্রায় ৫ হাজারটি কেস নিয়ে গবেষণা করে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন মৃত্যুর পরেও জীবন রয়েছে।
জেফ্রি লং নামের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন NDE অর্থাৎ ‘নিয়ার ডেথ এক্সপিরিয়েন্স’ হয়েছে এমন বহু মানুষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। ঠিক কী এই এনডিই? তিনি জানাচ্ছেন, এমন কেউ যিনি হয় কোমায় চলে গিয়েছেন অথবা ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’, তাঁরা অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার শরিক হয়েছেন। কোনও হৃদস্পন্দন নেই। দেখে মনে হচ্ছে মৃত। অথচ একসময় তাঁরাই জ্ঞান ফিরে পাচ্ছেন। এই ধরনের মানুষদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, ওই অচেতন অবস্থাতেও তাঁরা শুনতে, দেখতে, অন্যদের অস্তিত্বকে অনুভব করতে পারতেন। এমনকী, তাঁদের মধ্যে আবেগের প্রকাশও ছিল যথাযথ মাত্রাতেই। তাঁর দাবি, এনডিই-র অভিজ্ঞতা যাঁদের হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই ‘আউট অফ বডি’ অভিজ্ঞতার শরিক হয়েছেন। অর্থাৎ দেহের বাইরেও চেতনা জাগ্রত থাকার অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আদানিদের বিরুদ্ধে নয়া দুর্নীতির অভিযোগ, ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ পালটা দুর্নীতি সংস্থার]
তবে তিনি এও বলছেন, এই ধরনের অভিজ্ঞতার কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তিনি পাননি। অর্থাৎ এখনও বিষয়টি গবেষণাধীন। যা জানার পর মনে পড়ে যেতেই পারে রাজশেখর বসুর ‘মহেশের মহাযাত্রা’ গল্পটির কথা। সেই গল্পের একেবারে শেষে মৃত মহেশ চিৎকার করে হরিনাথকে বলে গিয়েছিল, ”আছে, আছে, সব আছে, সব সত্যি।” এই বিশ্বাস লং সাহেবেরও। কেবল তাকে প্রমাণ করতে প্রয়োজন আরও প্রত্যক্ষ প্রমাণের। আপাতত তারই খোঁজে তিনি ও সমমনস্করা।