সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সবার। তবে ধর্মীয় হিংসা উদ্বেগজনক।’ পরপর গির্জায় অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পাকিস্তানকে এমনটাই বার্তা দিল আমেরিকা। শুধু তাই নয়, হিংসার ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
কোরান অবমাননার অভিযোগে গত মঙ্গলবার থেকেই উত্তপ্ত পাকিস্তান। পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সলাবাদ শহরে একের পর এক গির্জায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের বাড়িতে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। জানা গিয়েছে, গির্জার এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে কোরান অবমাননার অভিযোগ ওঠে। যদিও ওই ব্যক্তি ঠিক কী করেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই একসঙ্গে চারটি গির্জায় হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। জারানওয়ালা এলাকার গির্জাগুলিতে হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা (America)। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সবার। তবে ধর্মীয় হিংসা মেনে নেওয়া যায় না। গির্জা ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। হিংসার ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি আমরা।”
[আরও পড়ুন: তালিবান বন্দুক দেখালেই কি পড়া থামবে! বিশ্বমঞ্চে লড়াই আফগান মহিলাদের]
এদিকে, হামলার পর থেকেই চরম আতঙ্কে রয়েছেন খ্রিস্টানরা। ঘটনায় মর্মাহত হয়ে টুইট করেছেন স্থানীয় বিশপ আজাদ মার্শাল। জ্বলন্ত গির্জার ছবি প্রকাশ করে তাঁর অভিযোগ, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর প্রচুর খ্রিস্টান ও হিন্দু মেয়েদের অপহরণের পরে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এই বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয় না ইমরানের প্রশাসন। পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতারাও আড়াল থেকে উসকানি দিয়ে অমুসলিম নাগরিকদের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। গত সপ্তাহেই চার জন হিন্দু ও তিনজন খ্রিস্টান মেয়েদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে।