সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবারই বিশেষজ্ঞরা ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছিলেন। শনিবার সরকারিভাবে আমেরিকায় ফাইজারের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়ে দিল মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (US Food and Drug Administration )। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান গবেষক ডেনিস হিনটন বলছেন,”করোনা ভাইরাস রুখতে ফাইজার বায়এনটেকের করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারে আমি ছাড়পত্র দিচ্ছি।”
ফাইজারের টিকা ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সি নাগরিকদের জন্য কতটা নিরাপদ, বা সামান্য ঝুঁকি উপেক্ষা করে এই টিকায় ছাড়পত্র দেওয়া যায় কিনা, তা নির্ধারণ করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। বৈঠকে ফাইজারের পক্ষেই পড়েছে সিংহভাগ বিশেষজ্ঞের ভোট। টিকাটির জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন কমিটির ১৭ জন সদস্য। ছাড়পত্র দেওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র চারজন। সেই ভোটাভুটির পর ফাইজারের টিকার ব্যবহারে ছাড়পত্র পাওয়াটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মার্কিন সরকার সাতটি করোনা টিকার (Corona Vaccine) প্রস্তুতিতে সমর্থন করছে। এর মধ্যে চারটিই রয়েছে বৃহত্তর ক্ষেত্রে তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে। এর মধ্যে দু’টির প্রস্তুতকারক হল ফাইজার এবং মোডার্না। আর এই দুই সংস্থাই ‘ইইউএ’ অর্থাৎ ‘এমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন’ বা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগে ছাড়পত্র চেয়েছিল। এর মধ্যে ফাইজারকেই প্রথম ‘এমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
[আরও পড়ুন: এবার ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারে ছাড়পত্র মার্কিন বিশেষজ্ঞদেরও, অপেক্ষায় ভারত]
এর ফলে আমেরিকায় এই টিকার গণটিকাকরণ শুরু হওয়ায় আর কোনও বাধা রইল না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টিকাকরণ শুরু করে দিতে চান তিনি। তিনি বলছিলেন, “আমাদের দেশ বিস্ময় ঘটিয়েছে। মাত্র ৯ মাসে আমরা ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছি। যা বিজ্ঞানের ইতিহাসের অন্যতম বড় সাফল্য। আমেরিকা বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নিরাপদ এবং উপযোগী ভ্যাকসিন তৈরি হল। চিন যে মহামারী শুরু করেছে, সেটা আমারা শেষ করব।” আমেরিকায় ছাড়পত্র পেয়ে যাওয়ার অর্থ হল, ব্রিটেন-সহ মোট পাঁচ দেশ ফাইজারের টিকায় ছাড়পত্র দিয়ে দিল। ব্রিটেন, আমেরিকা ছাড়াও সৌদি এবং বাহারিন টিকাটির ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে। ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে কানাডাও। ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণ। ফাইজার-বায়োএনটেক ভারতেও নিজেদের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। ভারতের DCGI এখনও টিকাটিতে ছাড়পত্র দেয়নি। আপাতত DCGI-এর ছাড়পত্রের অপেক্ষায় গোটা দেশ।