সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানকে মিসাইল তৈরি করতে মদত দেওয়ার অভিযোগে রুশ ও চিনের চারটি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা (USA)। আগামী জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের চড়ছে উত্তেজনার পারদ।
[আরও পড়ুন: ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে গুপ্তহত্যায় অভিযুক্ত ইজরায়েল, প্রতিশোধের হুমকি তেহরানের]
শুক্রবার মার্কিন বিদেশ সচিব মাইকে পম্পেও বলেন, “আমরা চারটি চিনা ও রুশ সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করছি। এই সংস্থাগুলি মিসাইল তৈরি করতে ইরানকে সহায়তা করছে। তেহরান যাতে অত্যাধুনিক মিসাইল তৈরি না করতে পারে সেই বিষয়ে আমরা সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে চেষ্টা করব।” তিনি আরও বলেন, “সব দেশেরই উচিত মিসাইল ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে ইরানক বাধা দেওয়া। চিন ও রাশিয়ার মিসাইল প্রযুক্তি যাতে তেহরানের হাতে না যায় সেই বিষয় নিশ্চিত করতে আমরা আরও নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটব। যে বিদেশি সংস্থাগুলি ইরানকে মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি পেতে মদত করবে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আমেরিকার অভিযোগ, চেংদু বেস্ট নিউ মেটিরিয়ালস কো লিমিটেড ও জিবো এলিম ট্রেড কো নামের চিনা সংস্থা দু’টি ইরানের হাতে মিসাইল তৈরির গোপন প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছে। একই অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার স্যানটার্স হোল্ডিং ও জয়ন্ত স্টক কোম্পানি এলকন নামে দুই সংস্থার বিরুদ্ধে। এই চার সংস্থার গতিবিধির উপর দীর্ঘদিন ধরেই নজর রাখছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা বলে খবর। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ইরানের সঙ্গে অনতর্জাতিক মঞ্চের আণবিক চুকত থেকে সরে দাঁড়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা। তারপর থেকেই ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলা ঠান্ডা লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকার নির্দেশেই হত্যা করা হয় ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে।
এদিকে, শুক্রবার ইরানের (Iran) শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহের গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে তেহরান প্রদেশের দামাভান্দ এলাকার আবসার্দ শহরে। এরপর এই ঘটনার পিছনে ইজরায়েলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এমনকী এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখে নিজেদের রক্ষা করার অধিকার তাদের রয়েছে বলেও দাবি করেছে।