সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালিয়েছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। কিন্তু এত বড় হামলার কথা ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ টের পেল না? গত আটদিন ধরে এই প্রশ্নই ঘুরছে আন্তর্জাতিক মহলে। এক রিপোর্ট মোতাবেক, হামাস আক্রমণের দিনক্ষণ নিয়ে আগেই নাকি ইজরায়েলকে সতর্ক করেছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ।
সিএনএন সূত্রে খবর, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ (CIA) অনুমান করেছিল ইজরায়েলে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে হামাস। এমনকী ২৮ সেপ্টেম্বর ও ৫ অক্টোবরে সীমান্তজুড়ে রকেট ছোড়ার পরিকল্পনা ছিল এই সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠীর। সেই তথ্যও তাদের কাছে ছিল। গত ৬ অক্টোবর অর্থাৎ হামলার একদিন আগে আমেরিকার আধিকারিকদের হাতে একটি রিপোর্ট আসে যেখানে উল্লেখ রয়েছে, হামাস সন্দেহজনক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। ভয়ংকর কোনও বিপদ যে শিয়রে সেই সম্পর্কে নাকি অবগত ছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। তাহলে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হল না তেল আভিভের পক্ষ থেকে? উঠছে প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: তপ্ত প্যারিস, প্যালেস্টাইনপন্থীদের প্রতিবাদ কড়া হাতে দমন ম্যাক্রোঁর প্রশাসনের]
তবে শুধু আমেরিকা (US) নয়, কয়েকদিন আগে আসন্ন বিপদ নিয়ে ইজরায়েলকে (Israel) সতর্ক করার দাবি জানিয়েছিল মিশর। এই বিষয়ে মিশরের (Egypt) গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, “গাজা থেকে যে বড় কোনও কাণ্ড ঘটানোর ষড়যন্ত্র চলছে সেই বিষয়ে ইজরায়েলকে বারবার সতর্ক করেছিল কায়রো।” কিন্তু এই দাবিগুলোকে বুধবার নাকচ করে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এই দাবি তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। কিন্তু তাতেও কাটছে না সন্দেহের মেঘ।
বিশ্লেষকদের মতে, হামাস হামলার আগে থেকেই ডামাডোল চলছিল ইজরায়েলে। দুর্নীতির অভিযোগে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ইজরায়েলিরা। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দেশের জনগনের সমর্থন পেতে চাইছেন তিনি। যার মাধ্যমে সুরক্ষিত হবে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। সেই জন্যই হয়তো সব জেনেও চুপ ছিলেন নেতানিয়াহু। অপেক্ষা করছিলেন সঠিক সুযোগের। কিন্তু এই টালবহানায় গত আটদিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজারের উপর মানুষ।
[আরও পড়ুন: ‘মিশন গাজা’ শুরু করল ইজরায়েল! উদ্ধার বহু পণবন্দির দেহ]