সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন বাদেই আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদে বসতে চলছেন জো বিডেন। তাঁর শপথের ঠিক আগে থেকেই আচমকা সুর চড়াতে শুরু করেছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উন। দেশের শাসকদল ওয়াকার্স পার্টির সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার আর্থিক হাল খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সামরিক শক্তি বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। তারপর থেকে এই বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়াও শুরু করেছে তাঁর দেশ। আর ঠিক তখনই ফের আমেরিকার বিরুদ্ধে ফের গর্জে উঠলেন কিম। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, আমেরিকাই পিয়ংইয়ংয়ের (Pyongyang) সবথেকে বড় শত্রু। উত্তর কোরিয়ার শাসকের এই মন্তব্যে বিশ্বের রাজনীতিতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া উত্তর কোরিয়ার শাসকদলের পার্টি কংগ্রেসে আমেরিকার প্রবল সমালোচনা করেছেন কিম জং উন (Kim Jong Un)। জো বিডেনের নাম না করেই তিনি বলেন, আমেরিকাকে জব্দ করার তার পথ খুঁজে বের করতে হবে। কারণ ওরাই আমাদের বিপ্লবের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ও সবথেকে বড় শত্রু। ওদের দেশের ক্ষমতায় কে থাকল সেটা বিষয় নয়। আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে কোনওদিন পালটাবে না।
[আরও পড়ুন: পাকাপাকিভাবে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার, পালটা হুঁশিয়ারি বিদায়ী প্রেসিডেন্টেরও]
বিশেষজ্ঞদের কথায়, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের থাকার সময়ই আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়া সবথেকে কাছাকাছি এসেছিল। বাগযুদ্ধের পাশাপাশি দু’পক্ষের ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল কিম জং উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। যদিও তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রথম বৈঠকে আশার আলো দেখা গেলেও ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার হানোইতে হওয়া আলোচনা ভেস্তে যায়। এরপর থেকে কেউ সমঝোতার রাস্তায় না হাঁটলেন কিম বা ট্রাম্প একে অপরের বিরুদ্ধে কোনও বিষোদগার করেননি। কিন্তু, বিডেনের সঙ্গে কিমের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় থেকে বাগযুদ্ধ চলছিল। তাই আশঙ্কা বাড়ছে।