সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে চিন (China)। আর যুদ্ধ শুরু হলে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে মদত দেবে আমেরিকা। এর জন্য লালফৌজকে ঘিরে ফেলতে জাপানের (Japan) সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনায় হয়ে গিয়েছে মার্কিন কর্তাদের বলে খবর।
[আরও পড়ুন: এশীয় আমেরিকানদের হত্যায় উত্তাল মার্কিন মুলুক, জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে বার্তা বাইডেনের]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আমেরিকা ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক স্তরের বৈঠকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। সোমবার এই বিষয়ে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নবুও কিশির সঙ্গে আলাপ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, চিন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায়, তাহলে একযোগে লালফৌজের বিরুদ্ধে ময়দানে নামবে আমেরিকা ও জাপান। যদিও সেই কৌশল কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, তাইওয়ানে চিনা আগ্রাসী গতিবিধি নিয়ে এর আগেও আমেরিকাকে সতর্ক করেছেন নবুও কিশি। দ্বীপরাষ্ট্রটির আকাশসীমায় চিনা যুদ্ধবিমানের আনাগোনা যে লাগাতার বাড়ছে সেই কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। তাই এবার দুই বন্ধু দেশের একযোগে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি, আগামী বছর ছয়েকের মধ্যেই তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন দাবি করেছেন এক শীর্ষ মার্কিন সেনাকর্তা। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন সেনকর্তা অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসনের বক্তব্য, “২০৫০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ক্ষমতা অর্জন করতে চায় চিন (China)। তারা আন্তর্জাতিক আইন সেই অর্থে মানে না। এই বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন। মার মনে হয়, আগামী ছয় বছরের মধ্যে তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন।”
প্রায় ২.৪ কোটি জনসংখ্যার তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। বিশেষ করে বেজিংয়ে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। পরোক্ষে তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়ে একাধিকবার লালফৌজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এহেন সময়ে তাইওয়ানের অস্তিত্ব রক্ষায় আমেরিকা-জাপান যুগলবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।