সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেমোক্র্যাট না রিপাবলিকান? জো বাইডেন নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প? কোন দিকে ঝুঁকে মার্কিন জনমত? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে মঙ্গলবারের (৮ নভেম্বর) আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে। সরাসরি ব্যালটের লড়াইয়ে না থাকলেও এই ভোটেই অগ্নিপরীক্ষা হবে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও এই নির্বাচন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
২০২০ সালে রিপাবলিকান দলের হেভিওয়েট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন (Joe Biden)। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর। মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু তাঁর আমলে বর্ণবৈষম্যের ঘটনা কমেনি। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের সবুজ সংকেত দিলেও নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি মতো সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকার জড়িয়ে পড়া ও গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলার রায়ে রিপাবলিকান দলের প্রতি আস্থা কিছুটা কমেছে বলেই ধারণা। ফলে মধ্যবর্তী নির্বাচনে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে বাইডেনকে।
[আরও পড়ুন: ‘ভুলেও ইউক্রেনে পরমাণু হামলা নয়’, পুতিনকে স্পষ্ট বার্তা জিনপিংয়ের]
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে অনেকটাই ব্যাকফুটে ছিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় মামলার মুখে পড়া প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটপ্রচারে ধারাবাহিক ভাবে হাজির ছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আদৌ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, তা রিপাবলিকানদের ফলাফলের উপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বলেই ধারণা। ট্রাম্পের পাশাপাশি রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেত্রী রোনা ম্যাকড্যানিয়েলের কাছে এই ভোট আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি এবং নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে’র ৪৩৫টি সাধারণ আসনের সবক’টিতেই ভোট হচ্ছে এ বার। বিশ্লেষকদের মতে, ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে’র দখল রিপাবলিকানদের হাতে চলে যেতে পারে। সেনেটের দখল বজায় রাখাও কঠিন হতে পারে ডোমোক্র্যাটদের পক্ষে। আর এমনটা হলে নতুন আইন পাশ করা বা ইউক্রেন যুদ্ধে আর্থিক প্যাকেজ পাশ করাতে কংগ্রেসে রীতিমতো হিমশিম খেতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে।