সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের কথা অজানা নয়। একইভাবে চিনে (China) উইঘুরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের বিষয়টিও সবার জানা। তাই সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণের অধিকার রক্ষায় এবার আসরে নামল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: কূটনীতিকদের উপর মাইক্রোওয়েভ শক্তির হামলা চিনের, দাবি মার্কিন সংস্থার]
সোমবার বিদায়ী মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানান, পাকিস্তান ও চিন-সহ বেশ কয়েকটি দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ ও লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের (International Religious Freedom Act) আওতায় ‘উদ্বেগজনক দেশের’ তালিকায় রাখা হয়েছে। এই দুই দেশ ছাড়াও মার্কিন তালিকায় রয়েছে, মায়ানমার, ইরিট্রিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কঙ্গো। এদিন বিদেশ সচিব পম্পেও আর জানান, রাশিয়া, কিউবা, নিকারগুয়া ও কোমোরোসকে বিশেষ নজরদারি তালিকায় রাখা হয়েছে। এই দেশগুলিতে সরকারি উসকানিতে ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ আমেরিকার। এই বিষয়ে পম্পেও বলেন, “ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনায় ইতি টানতে অক্লান্তভাবে কাজ করবে আমেরিকা। প্রতিটি মানুষ যাতে নিজের বিবেকের কথা শুনে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে সেই চেষ্টা করব আমরা।”
এদিকে, ফ্র্যাঙ্ক আর উল্ফ ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম অ্যাক্ট ২০১৬-এর আওতায় আল-শাবাব, বোকো হারাম, হায়াত তহরির আল-শাম, হাউথি, ইসলামিক স্টেট, তালিবান-সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম জঙ্গি সংগঠনকে ‘উদ্বেগজনক প্রতিষ্ঠানের’ তালিকায় রেখেছে আমেরিকা। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া মার্কিন পদক্ষেপে বিপাকে পড়তে পারে পাকিস্তান ও চিন। কারণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে এই দেশগুলির বিরুদ্ধে চাইলে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে ওয়াশিংটন। তেমনটা হলে, পাকিস্তানকে দেওয়া মার্কিন অনুদানের একটা বড় অংশ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একইভাবে, চিনা অধিকেরিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টানদের বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ, সংখ্যালঘু মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, চিনে উইঘুর মুসলিমদের উপর বেজিংয়ের অত্যাচারও লাগাতার বাড়ছে। মৌলবাদ নির্মূল করার নামে ওই প্রদেশে মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি।