সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন আইনে ভারতকে বিশেষ ছাড় দিল আমেরিকার (USA) সংসদ। রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে ভারত। কিন্তু আমেরিকার ক্যাটসা আইন অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হল ভারতকে।
মার্কিন পার্লামেন্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ রো খান্না আইন সংশোধনের প্রস্তাব এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আমি কাজ করছি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেই কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ককাসের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন খান্না। ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ককাস। সন্ত্রাসদমন, গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা-সহ নানা বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেই তৈরি হয়েছিল এই জোট।
[আরও পড়ুন: ফিরছে স্থিতাবস্থা? সাত দিনের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেবে শ্রীলঙ্কা]
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ করেছিল রাশিয়া। ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনেও অনৈতিক ভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছিল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের বিরুদ্ধে। তারপরই মার্কিন সংসদে কাউন্টারিং আমেরিকাস আডভারসারিস থ্রু স্যাংশন আক্ট বা ক্যাটসা আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে যথেষ্ট উদ্যোগী আমেরিকা। রাশিয়া থেকে তেল বা অস্ত্র কিনছে ভারত। তা সত্ত্বেও ভারতের বিরোধিতা করছে না আমেরিকা। উলটে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েই বার্তা দেওয়া হয়েছে আমেরিকার তরফ থেকে।
ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে আইন সংশোধনের বিল। সায় দিয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদরাও। খান্না জানিয়েছেন, “এই বিল পাশ করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলমত নির্বিশেষে সকলে এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছেন দেখে আমি গর্বিত।” প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসেই মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্লিনকেন জানিয়েছিলেন, ভারতের উপরে ক্যাটসা আইন মেনে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আমেরিকার একাধিক নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। সেই কথা মাথায় রেখেই ভারতকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।