সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ তকমা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশ্য তার আগে মঙ্গলবার ইউক্রেনে (Ukraine) মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে ঘোষণা করে আমেরিকার সেনেট। এদিকে, রাশিয়াকে দ্রুত যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই রাশিয়ার নাকের ডগায় নরওয়েতে সামরিক মহড়া শুরু ন্যাটোর]
প্রায় বাইশ দিন ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি রুশ বাহিনী। লড়াইয়ে ভ্যাকুয়াম বোমা ও ক্লাস্টার বম্বের মতো নিষিদ্ধ হাতিয়ার ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। হাসপাতাল থেকে শুরু করে স্কুলে গোলবর্ষণ করছে রুশ সেনারা বলে অভিযোগ জানিয়েছে ইউক্রেন। এহেন পরিস্থিতিতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, “পুতিন একজন যুদ্ধাপরাধী।”
এদিকে, মঙ্গলবার ক্রেমলিনের আগ্রাসনের নিন্দা করে সর্বসম্মত ভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে ঘোষণা করে আমেরিকার সেনেট। রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বিষয়টি প্রস্তাব করলে দলের দুই সেনেটের তাঁকে সমর্থন জানান। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আর্ন্তজাতিক অপরাধ আদালত এবং বাকি দেশগুলি সঙ্ঘাতের সময় ঘটা অপরাধগুলিতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত চালাবে।
অন্যদিকে, রাশিয়াকে অবিলম্বে যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের অভিযোগের শুনানিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিচারপতিদের ১৩-২ ভোটে জয়লাভ করে ইউক্রেন। কিন্তু ক্রেমলিন স্পষ্ট জানিয়েছে, বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতের আওতার বাইরে। টায় সেই নির্দেশ মানতে তারা বাধ্য নয়। একইসঙ্গে পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ তকমা দেওয়ার বাইডেনের বয়ানকে ‘ক্ষমার অযোগ্য মন্তব্য’ বলে তোপ দেগেছে মস্কো।
উল্লেখ্য, রুশ বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ ও আশাতীত ভাবে লড়াই চালালেও পরিস্থিতি যে সুবিধার নয় তা বুঝে সুর নরম করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ সেনা কিয়েভের যত কাছে পৌঁছচ্ছে, ততই তাৎপর্যপূর্ণ বদল হচ্ছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির বক্তব্যে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ন্যাটো-ইউক্রেন সম্পর্ক থেকেই ইউক্রেন, ক্রেমলিন আগ্রাসনের মুখে পড়েছে। মস্কোর অভিযোগ, আমেরিকা ও নেটো দেশ সমূহ রাশিয়াকে ভৌগোলিক ভাবে ঘিরে ফেলার চক্রান্ত করছে। তারই করা অন্যতম পদক্ষেপ মৌখিক চুক্তি ভেঙে ইউক্রেনের নেটোয় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া।