সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিয়েভে লাগাতার আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া (Russia)। সোমবার সকালে ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিয়েভের নানা অঞ্চল থেকে রুশ হামলার খবর পাওয়া যায়। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে দেশটির অন্যান্য শহরেও। এহেন পরিস্থিতিতে জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার আশ্বাস, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে।
এদিকে সোমবারই রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বলে তোপ দেগেছে কিয়েভ। স্থানীয় সময় সকাল সোয়া আটটা নাগাদ ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া (Russia Attack)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সারা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে নানা প্রান্তে লাগাতার বিস্ফোরণ ঘটছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার এই হামলার ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি আপৎকালীন বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকেই ইউক্রেনের প্রতিনিধি সের্গেই কিসলিতসিয়া বলেন, ”রাশিয়া আবারও প্রমাণ করল তারা একটি জঙ্গি রাষ্ট্র। সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠিন উপায়েই তাদের মোকাবিলা করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন দেশের করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত দু’হাজারেরও কম]
এদিকে হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। এবং জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ইউক্রেনকে যেমন সমর্থন করছেন সেভাবেই সমর্থন করবেন। এবং অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে রুশ সেনার হামলাকে প্রতিহত করার শক্তি জোগাবে কিয়েভকে।
উল্লেখ্য, দিন তিনেক আগেই ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় সরাসরি ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, “এই ঘটনাটি আসলে জঙ্গি আক্রমণ। ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তরের কারসাজির ফলেই সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।” ফলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রতিশোধ নিতেই সোমবার ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা।