সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন ইউক্রেনে (Ukraine) সেনা পাঠাচ্ছে না আমেরিকা, ব্যাখ্যা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। শনিবার রাশিয়ার উপর আরও একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। সেই নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সময়ই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে ফের মুখ খোলেন বাইডেন। পাশাপাশি এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কির (Vladimir Zelensky) সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
১৭ দিন কেটে গেলেও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামার কোনও ইঙ্গিত নেই। দু’দেশের মধ্যে দফায়-দফায় আলোচনা হলেও রফাসূত্র এখনও অধরা। এর মাঝেই পশ্চিমীর দেশগুলি আশঙ্কা করছে, এবার ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করবে মস্কো। শনিবার এনিয়ে সতর্ক করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেনের ঘোষণা, “গোয়েন্দা সূত্রে কী খবর পেয়েছি তা প্রকাশ্যে বলব না, তবে ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করলে ভয়াবহ ফল ভুগতে হবে রাশিয়াকে (Russia)। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনাকে উসকে দেয়, এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকুক মস্কো।”
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আছড়ে পড়ল ভারতের মিসাইল, কী বলছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক?]
উল্লেখ্য, আমেরিকার (USA) বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, বিশ্বের চোখে ধুলো দিয়ে ইউক্রেনে জৈব অস্ত্র তৈরি করছিল আমেরিকা। এহেন অভিযোগই ইউক্রেনে বিরুদ্ধে রাশিয়াক জৈব অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তাদের দাবি, ইউক্রেন-আমেরিকার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে কিয়েভে জৈব অস্ত্র প্রয়োগের রাস্তা পরিষ্কার করছে মস্কো।
এমন পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিলেও ইউক্রেনে সেনা পাঠাচ্ছে না আমেরিকা। বাইডেনের কাছে একাধিকবার সেনা পাঠানোর আবেদন করেছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু সেই আরজি গৃহীত হয়নি। কেন সেনা পাঠাচ্ছে না আমেরিকা, তার জবাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ প্রসঙ্গে এদিন বাইডেন জানান, “ইউক্রেনে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়াব না। রাশিয়া-ন্যাটোর (NATO) সরাসরি সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Word War III) সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করবে। এটা আমরা হতে দিতে পারি না।”
এদিন জেলেনস্কিকে ফোন করে বাইডেন। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে জি-৭ গোষ্ঠী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি সবরকমভাবে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।