সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে (White House) বিয়ের আসর! মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) নাতনির বিয়ে। চার হাত এক হবে বাইডেনের নাতনি নেওমি ও পিটার নিয়ালের। গত চারবছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা।
শনিবার হোয়াইট হাউসে বসেছিল বিয়ের আসর। ইতিপূর্বে আরও ১৮টি বিবাহ আসর সম্পন্ন হয়েছিল সেখানে। ১৯৭১ সালে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের মেয়ে ট্রিসিয়ার বিয়ে হয় হোয়াইট হাউসে। ২০১৩ সালে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার পেট সওউজাও এখানে বিবাহ বাসর বসিয়েছিলেন। তবে অন্যত্র বিয়ে হয়েছে কিন্তু প্রীতিভোজের আসর বসেছে আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে, এমন নজিরও আছে। এরমধ্যে রয়েছেন ২০০৮ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশের মেয়ে জেননাও। তবে এই প্রথমবার কোনও প্রেসিডেন্টের নাতনির বিয়ের সাক্ষী থাকল হোয়াইট হাউস। তবে এই বিবাহ অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার নেই। কেমন হচ্ছে অন্দরসজ্জা, কী খাবার পড়বে অতিথিদের পাতে, সেই খবর প্রকাশ্যে আসতে দেননি আমেরিকার ফার্স্ট লেডি। এ নিয়ে অবশ্য বিতর্ক কম হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কখনও কিছু লিখবেন না! ফেসবুক প্রোফাইল মুছলেন সব্যসাচী]
নাওমি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পুত্র হান্টার বাইডেন ও তাঁর প্রথম স্ত্রীর ক্যাথলিনের কন্যা। ২৮ বছরের নাওমি পেশায় আইনজীবী। আরেক আইনজীবী পিটার নিয়ালের সঙ্গে গত ৪ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। নাওমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে বাইডেনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। শোনা যায়, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করতে বাইডেনকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত করেছিলেন তাঁর নাতনি-ই। নাতি-নাতনিদের কাছেন মানুষ বাইডেন। ‘পপ’ নামেই পরিচিত তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই নাতনির বিয়ে ঘিরে উচ্ছ্বসিত বাইডেন। তবে অনুষ্ঠানটি সংবাদমাধ্যমের চোকের আড়ালেই রাখতে চান তিনি। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক মার্কিন সাংবাদিক কেলি ও ডোনেল জানান, “এতদিন যাবৎ হোয়াইট হাউসে যত বিয়ের আয়োজন হয়েছে সেখানে সংবাদমাধ্যম আমন্ত্রিত ছিল। কারণ ওই জায়গাটার মালিক আমেরিকার আমজনতা।”