সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেনজির নির্বাচনী উত্তেজনায় ফুটছে বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্র। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জনমত মেনে পরাজয় স্বীকার না করার হুমকি থেকে শুরু করে ভোটপ্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ। নজিরবিহীনভাবে, ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মতো রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ির সাক্ষী থাকল আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন মার্কিন গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: নাটকীয় নির্বাচনে হোয়াইট হাউস দখলের পথে বিডেন, গণনা রুখতে মামলা ট্রাম্প শিবিরের]
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (National Security Agency) প্রধান জেনারেল পল এম নকাসনে জানিয়েছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন? এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে আমেরিকার অন্দরে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে বিদেশি শক্তি। তাই গোটা ঘটনাবলীর কড়া নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিকরাও মনে করছেন যে, রাশিয়া, ইরান ও চিনের মতো দেশগুলি প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে মার্কিন জনতার মনে সন্দেহের বীজ বোপণ করার চেষ্টা করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরের সমর্থকরা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে, পরাজিত হলে ছেড়ে কথা বলবে না ট্রাম্পপন্থীরা। তাই সমস্ত ধরনের বিদেশি গতিবিধির উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।
করোনা আবহে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন নিয়ে গোড়া থেকেই তুঙ্গে বিতর্ক। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) একপ্রকার জানিয়েই দিয়েছেন, হেরে গেলে নির্বাচন মেনে নেবেন না তিনি। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মতোই বর্ণবিদ্বেষ উসকে ভোট টানার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। এমনকী গণনা শেষ হওয়ার আগেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করলেন তিনি। সাফ বুঝিয়ে দিলেন, এই ভোটে তিনি হারলে দাঙ্গা বাধা আশ্চর্য নয় গোটা দেশে। পাশাপাশি, বিদেশে হস্তক্ষেপার অভিযোগ। এর আগে আমেরিকার ইতিহাসে এমন লজ্জাজনক অধ্যায় দেখা যায়নি। এর মধ্যে, বিপুল সংখ্যক মেল-ইন-ব্যালট গণনা না হওয়ায় নির্বাচনের মোড় কোনদিকে ঘুরতে চলেছে তা স্পষ্ট নয়। ২৬৪ আসন নিয়ে ম্যাজিক ফিগার প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন বিডেন। কিন্তু জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনার মতো তিনটি বড় রাজ্যের ফল এখনও আসেনি। তাই উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ। এহেন পরিস্থিততে, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাতে পারে বিদেশি শক্তি। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই। মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স-এর ডিরেক্টর জন র্যাটক্লিফ জানিয়েছিলেন, একাংশ মার্কিন ভোটারের তথ্য রয়েছে ইরান (Iran) ও রাশিয়ার (Russia) হাতে। নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে একাধিক বিদেশি সংস্থা।