shono
Advertisement

পুলিশের সঙ্গে সংঘাত ট্রাম্প সমর্থকদের, একাধিক শহরে শুরু ভাঙচুর

উঠছে ভোটপ্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ।
Posted: 05:08 PM Nov 05, 2020Updated: 05:18 PM Nov 05, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেনজির নির্বাচনী উত্তেজনায় ফুটছে বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্র। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জনমত মেনে পরাজয় স্বীকার না করার হুমকি থেকে শুরু করে ভোটপ্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ। নজিরবিহীনভাবে, ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মতো রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ির চলছে আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা সত্যি করে একাধিক শহর থেকে মিলছে সংঘাতের খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনে ইতিহাস! মোট ভোটের নিরিখে ওবামার রেকর্ডও ভেঙে ফেললেন বিডেন]

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, মিনিয়াপোলিসে বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে জড়ো হওয়া ট্রাম্প বিরোধীরা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইভাবে ডেমোক্র্যাটিক দলের দখলে থাকা নিউ ইয়র্ক শহরেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় ৫০ জনেক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশঙ্কা সত্যি করে অরেগন প্রদেশের পোর্টল্যান্ডে দাঙ্গা শুরু হয়েছে। এই রাজ্য দখল করেছেন জো বিডেন। ফলে প্রবল ক্ষুব্ধ ট্রাম্পপন্থীরা রাস্তায় নেমে ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন অরেগনের গভর্নর কেট ব্রাউন। দাঙ্গাবাজদের কাছ থেকে রাইফেল ও অন্য হাতিয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে। অ্যারিজোনা রাজ্যের ফিনিক্সে ভোটগণনা কেন্দ্রের বাইরে কয়েকশো ট্রাম্প সমর্থক জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে।

এদিকে, মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন ও রাশিয়া। উল্লেখ্য, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (National Security Agency) প্রধান জেনারেল পল এম নকাসনে জানিয়েছেন, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন? এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে আমেরিকার অন্দরে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে বিদেশি শক্তি। তাই গোটা ঘটনাবলীর কড়া নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিকরাও মনে করছেন যে, রাশিয়া, ইরান ও চিনের মতো দেশগুলি প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে মার্কিন জনতার মনে সন্দেহের বীজ বোপণ করার চেষ্টা করতে পারে। সেক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরের সমর্থকরা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে, পরাজিত হলে ছেড়ে কথা বলবে না ট্রাম্পপন্থীরা। তাই সমস্ত ধরনের বিদেশি গতিবিধির উপর নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।

[আরও পড়ুন: ইউরোপে ছড়াচ্ছে জেহাদের শিকড়, ভিয়েনা হামলার দায় নিল ইসলামিক স্টেট]

এপর্যন্ত ২৬৪ আসন নিয়ে ম্যাজিক ফিগার প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন বিডেন। কিন্তু জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনার মতো তিনটি বড় রাজ্যের ফল এখনও আসেনি। তাই উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ। এহেন পরিস্থিততে, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাতে পারে বিদেশি শক্তি। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement