সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাম্পাসে ইজরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হলেই আর্থিক অনুদান বন্ধ! মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ 'দমন' করতে এবার তদন্তে নামল আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও তলব করা হয়েছে হাউসের তরফে। উল্লেখ্য, মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের দখলে।
গাজায় (Gaza) ইজরায়েলি সেনার ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদে উত্তাল আমেরিকার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। তার মধ্যেই ইজরায়েলের জন্য বিরাট অঙ্কের সামরিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। তার পরেই আমেরিকার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় প্যালেস্টাইনপন্থী প্রতিবাদ (Pro Palestine Protest)। গত এক সপ্তাহে হাজারেরও বেশি পড়ুয়াকে আটক করা হয়েছে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে। এহেন পরিস্থিতিতে এক রিপাবলিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "মুখ লুকিয়ে থাকা মেরুদণ্ডহীন কলেজ নেতাদের সাফ জানিয়ে দিচ্ছি, এবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমরা ফেরত নেব।"
[আরও পড়ুন: ‘হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক না হোক, রাফায় আমরা ঢুকবোই’, ফের হুঙ্কার নেতানিয়াহুর]
মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন (USA) সাংসদ ভার্জিনিয়া ফক্স। সংসদে শিক্ষা ও কর্মসংস্থান কমিটির প্রধান তিনি। জানিয়ে দেন, ইয়েল, ক্যালিফোর্নিয়া এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানদের তলব করা হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসগুলো কারোর খেলা করা বা উগ্রপন্থা ছড়ানোর জায়গা নয়। এবার ইজরায়েলবিরোধী আচরণের ফল পাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংসদের স্পিকার মাইক জনসন জানিয়েছেন, ইহুদিবিদ্বেষ হল একটা ভাইরাস। জো বাইডেন প্রশাসন এই ভাইরাস রুখতে সচেষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইহুদি পড়ুয়াদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি কেন, জবাবদিহি করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে চলতি মাসেই। আগামী ২৩মে তলব করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষদের। সূত্রের খবর, বড়সড় শাস্তির কোপ নেমে আসতে পারে প্রতিবাদী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। মার্কিন সরকারের তরফে যা অনুদান দেওয়া হয়, সেটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়াও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। ফল ভুগতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও।