সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন থেকে শুরু করে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ-সহ একাধিক ইস্যুতে বিবাদ মেটাতে উদ্যোগী আমেরিকা (America) ও রাশিয়া (Russia)। আগামী জানুয়ারি মাসে আলোচনার টেবিলে বসতে চলেছে দুই মহাশক্তি।
[আরও পড়ুন: জার্মানি থেকে ধৃত লুধিয়ানা বিস্ফোরণে জড়িত খলিস্তানি জঙ্গি, ছক ছিল দিল্লি-মুম্বইয়ে হামলারও]
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর যে আগামী জানুয়ারি মাসে বৈঠক হতে চলেছে মার্কিন ও রুশ প্রতিনিধিদের মধ্যে। ইউক্রেন থেকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী আমেরিকা। আলোচনার টেবিলে দু’পক্ষই নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরবে। আগামী ১০ জানুয়ারি ওই বৈঠকের দিন স্থির করা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মেটাতে ন্যাটো সামরিক জোটের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে মস্কো। সেই বৈঠক হবে জানুয়ারির ১২ তারিখ। তার ঠিক পরের দিন আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশের জোট অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অন্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ’-এর সঙ্গে দেখা করবেণ মস্কোর প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, ন্যাটো গোষ্ঠিতে ইউক্রেন শামিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাশিয়া। আর তারপর থেকেই কিয়েভের উপর চাপ বাড়িয়েছে মস্কো। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া। মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভের দাবি, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো। শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে, ইউক্রেনে আগ্রাসন না থামালে রাশিয়াকে (Russia)‘কড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি, মঙ্গলবার ইউক্রেন নিয়ে পোল্যান্ডের নিরাপত্তা প্রধান পাভেল সলোচের সঙ্গে আলোচনা করেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।