সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া থেকে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জের। এবার তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাল আমেরিকা। সোমবার কড়া ‘CAATSA’ আইনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন বিদেশ দপ্তর।
[আরও পড়ুন: ট্রাম্পের চেষ্টায় জল ঢেলে বিডেনের জয়ে সিলমোহর ইলেক্টোরাল কলেজের]
এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, তুরস্কের ‘প্রেসিডেন্সি অফ ডিফেন্স ইনডাস্ট্রিজ’ (SSB)-এর উপর ‘Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act’ বা CAATSA’র ২৩১ নম্বর ধারার আওতায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর ফলে SSB’র প্রধান ইসমাইল দেমির ও দ্বিতীয় শীর্ষ আধিকারিক ফারুক ইগিটের উপর ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। পাশাপাশি, সংস্থাটির উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞাএও চাপানো হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ন্যাটো গোষ্ঠীতে ফাটল আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জোটের সদস্য দেশ তুরস্কের রাশিয়া প্রীতি ক্রমেই ওয়াশিংটনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। এর ফলে আঙ্কারাকে কড়া বার্তা দিয়ে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেচে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, তুরস্ক ছাড়াও রুশ S-400 মিসাইল সিস্টেম কিনেছে চিন ও ভারত। অত্যাধুনিক এই মিসাইল সিস্টেমটি শত্রুপক্ষের মনে ভীতি জাগিয়ে তুলতে যথেষ্ট বলেই মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ভারতের আকাশকে অভেদ্য করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০ (S-400) মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০কে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বলে মনে করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে চিন। তারপরই প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পড়শিদের বাগে আনতে প্রয়োজন এস-৪০০। পাকিস্তানের কাছে প্রায় ২০ স্কোয়াড্রন মার্কিন এফ-১৬ বিমান রয়েছে। চিনের (China) থেকেও বিপদের আশঙ্কা দিন-দিন বাড়ছে। ফলে দেশের সুরক্ষায় এই হাতিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ন্যাটো জোটে ফাটল তৈরি কে কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই হাতিয়ার।