সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলায় শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে। সেই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার ইস্তফা দিলেন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান কিম্বারলি চিটলে। এই ঘটনা যে নিরাপত্তাবাহিনীর চূড়ান্ত ব্যর্থতা, তা নিজের ইস্তফাপত্রে স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলায় সিক্রেট সার্ভিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সোমবার হাউস ওভারসাইট কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হয়েছিল কিম্বারলিকে। সূত্রের খবর, সেখানেই নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নেন নিরাপত্তা দপ্তরের প্রধান। এমনকী সেখানেই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। এর পর মঙ্গলবার ইমেল মারফত ইস্তফা দেন চিটলে। সেখানে তিনি লেখেন, 'সম্প্রতি যা ঘটেছে তার জেরে আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমি সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।' একই সঙ্গে ওই ইমেলে তিনি জানান, 'সেদিনের ঘটনায় নিরাপত্তার গাফিলতির সম্পূর্ণ দায় আমার।'
[আরও পড়ুন: গুলিতে রক্তাক্ত, তবু স্ট্রেচারে উঠতে চাননি ট্রাম্প! কেন, জানালেন নিজেই]
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই উপলক্ষে গত ১৩ জুলাই পেনসিলভেনিয়াতে এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তাঁর উপর গুলি চালায় ২০ বছর বয়সি এক যুবক। ট্রাম্পের কান ঘেঁষে চলে যায় গুলি। আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়েন ট্রাম্প। তাঁকে ঘিরে ধরে নিরাপত্তারক্ষীরা। কাল বিলম্ব না করে গাড়িতে তোলা হয় ট্রাম্পকে। আততায়ী সেখানেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা পড়ে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে থাকে, বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিয়ে।
[আরও পড়ুন: ইয়েমেনে হামলার ‘জবাব’ ইজরায়েলকে, তেল আভিভের সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হেজবোল্লার]
অন্যদিকে জানা যায়, ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো হতে পারে, এমন খবর আগে থেকেই ছিল সিক্রেট সার্ভিসের কাছে। সেকথা ট্রাম্পের প্রচার টিমকেও জানানো হয়েছিল, বলে দাবি করছে বেশ কিছু রিপোর্ট। কিন্তু তারপরও কেন পরিস্থিতি এড়ানো যায়নি? এমনই নানান প্রশ্নের মাঝেই এবার ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করলেন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের প্রধান কিম্বারলি চিটলে।