সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বৈরাচারী কিম জং উনকে কড়া জবাব। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পালটা এবার একের পর এক ৮টি মিসাইল ছুঁড়ল আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। যুযুধান দুই পক্ষের এহেন আস্ফালনে কোরীয় উপদ্বীপে ফের যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, রবিবার উত্তর কোরিয়াকে (North Korea) হুঁশিয়ারি দিয়ে আটটি মিসাইল ছুঁড়েছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস জানান, একাধিক লক্ষ্যে মিসাইলগুলি ছোঁড়া হয়। কিমকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ নিন্দনীয় ঘটনা। এর ফলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ছে। যৌথভাবে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া জমি থেকে জমিতে আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইলগুলির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। এই উৎক্ষেপণ স্পষ্ট দেখিয়ে দিচ্ছে যে শত্রুপক্ষের শিবিরে নিখুঁতভাবে হামলা চলতে সক্ষম আমরা। দুশমনের কমান্ড ও সাপোর্ট সিস্টেম আমাদের নিশানায় রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: বন্দুকবাজদের হামলায় রক্তাক্ত নাইজেরিয়ার গির্জা, মৃত অন্তত ৫০]
রবিবার ফিলিপিন সাগরে আমেরিকার (US) সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার তিনদিন ব্যাপী যৌথ মহড়ার ‘জবাব’ দিতে ফের ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করে কিম জং উনের দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, শিগগিরি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাও করতে চলেছে উত্তর কোরিয়া। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ। ২০১৭ সালের নভেম্বরে শেষবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মহড়া দিতে দেখা গিয়েছিল আমেরিকাকে। প্রায় বছর পাঁচেক পরে ফের দুই দেশের যৌথ মহড়া শেষ হয়েছে একদিন আগেই। তারপরই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে উত্তর কোরিয়া বুঝিয়ে দিল, যতই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক, তারা তাদের পথেই চলবে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার দাবি, গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কিম। এর আগে ২০০৬ সালে তারা প্রথম বার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল দেশটি। পরবর্তী ১১ বছরে ৬ বার তারা এমন পরীক্ষা করলেও ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর আর এই ধরনের কোনও পরীক্ষা করেনি। কিন্তু এবার ফের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করতে উদ্যত উত্তর কোরিয়া। আসলে কিমের দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি চায় আমেরিকার থেকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই ভাবে ওয়াশিংটনের উপরে চাপ প্রয়োগ করে কূটনৈতিক মঞ্চে সুবিধা আদায় করাই লক্ষ্য তাদের।