সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি (Khalistani Terrorist) জঙ্গিদের নিয়ে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই মুখ খুলল আমেরিকা (USA)। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জো বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে কানাডার (Canada) তদন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত। যথাযথ শাস্তি দিতে হবে দোষীদের। প্রসঙ্গত, কানাডার তরফে বলা হয় সেদেশের নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে ভারত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে এই দাবি নস্যাৎ করে ভারত জানিয়েছে, অবাস্তব মন্তব্য করছে কানাডা।
সোমবার নিজের দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) সাফ জানান, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই তদন্তকারীদের সেদেশের অনুমান। এই দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এক আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পদ্ম সংসারে তুমুল অশান্তি, রাজ্য অফিসে রাহুল-দিলীপের ঘর ভাঙার পরিকল্পনা]
কানাডার এই আচরণের পালটা তোপ দেগেছে ভারত। কড়া ভাষায় বিবৃতি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে কানাডার কূটনীতিকরা। তাছাড়াও ভারতবিরোধী কাজের সঙ্গেও তাঁদের যোগ রয়েছে। সমস্ত বিষয়টি নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। সেই কারণেই কানাডার এক কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে নির্দেশ দেয় বিদেশ মন্ত্রক।
গোটা ঘটনার দিকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। সেদেশের জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের মুখপাত্র একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানেই বলেন, ভারত সম্পর্কে কানাডার এহেন অভিযোগ নিয়ে আমেরিকা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালিয়ে যাক কানাডা। দোষী প্রমাণিত হলে তাদের যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।