সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোভেল করোনা ভাইরাসের উৎস নিয়ে ক্রমে সংঘাত বাড়ছে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে। বেজিংকে কোণঠাসা করতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখছে না ওয়াশিংটন। এবার পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে চিন থেকে আমেরিকায় বিমান আসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী ১৬ জুন থেকে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: কাঁদানে গ্যাস-কারফিউ, অগ্নিগর্ভ আমেরিকায় ৮০ প্রতিবাদীকে ঠাঁই দিয়ে ‘হিরো’ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি]
মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, জুন মাসের শুরু থেকেই চিনে পরিষেবা শুরু করার কথা ছিল মার্কিন বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও ডেলটা এয়ারলাইন্সের। কিন্তু পরিষেবা শুরু করার জন্য এখনও অনুমতি দেয়নি চিন। তারই পালটা হিসেবে এবার মার্কিন বিমানবন্দরগুলিতে জুনের ১৬ তারিখ থেকে চিনা যাত্রীবাহী বিমানের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে কোভিডের উৎসস্থল চিনের ইউহান প্রদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হু হু করে ছড়াতে শুরু করায় ওই দু’টি বিমান সংস্থার পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছিল।
কড়া ভাষায় বেজিংয়ের সমালোচনা করে মার্কিন পরিবহণ দপ্তর সাফ বলেছে, ‘বিমান চলাচল সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি চিন লঙ্ঘন করছে। তবে চিনা (China) পক্ষের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তবে তার মধ্যেই আমরা ততগুলি নির্ধারিত চিনা যাত্রীবিমানকে ঢুকতে দেব, যতগুলি চিন সরকার আমাদের বিমানকে অনুমতি দেবে।’
উল্লেখ্য, বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন টানাপোড়েনের মধ্যে নয়াদিল্লির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষের বিদেশনীতি সংক্রান্ত কমিটির প্রধান এলিয়ট এঞ্জেল (Elliot Engel) সাফ জানিয়ে দিলেন, লাদাখ সীমান্তে চিন যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। চিনের এই আচরণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কূটনৈতিকভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান না করে, বেজিং যেভাবে পেশিশক্তি প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে, তা নিন্দনীয়। সব মিলিয়ে চিনের উপর চারদিক থেকেই চাপ বড়াচ্ছে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ফের অবস্থান বদল! করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতি দিল WHO]
The post বাড়ল সংঘাত, এবার চিনা বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা appeared first on Sangbad Pratidin.