সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ঠান্ডা লড়াই’য়ের পরবর্তী সময়ে সামরিক শক্তির সমীকরণ পালটে দিয়ে দ্রুত উত্থান ঘটছে চিনের (China)। আর ‘ড্রাগন’-এর আগ্রাসনে এশিয়া মহাদেশে ক্ষমতার বর্তমান ভরকেন্দ্র রীতিমতো বদলে যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে কমিউনিস্ট দেশটির কার্যকলাপ নজরে রেখে নয়া চুক্তিতে সই করেছে আমেরিকা ও তাইওয়ান।
[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত অবস্থাতেই বৈঠকে ইমরান খান! তীব্র সমালোচনার ঝড় পাকিস্তানে]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সমুদ্রে চিনা নৌবহরের আগ্রাসী কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে আমেরিকা ও জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। তাইওয়ানে আমেরিকার ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস ‘আমেরিকান ইন্সটিটিউট’ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ-য়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদানপ্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে। এই বিষয়ে তাইওয়ানের প্রিমিয়ার সু সেং-চ্যাং জানান। গত জানুয়ারি মাসে নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়ন করে চিন। ওই আইনে ভিন দেশের ‘অনুপ্রবেশকারী’ জাহাজ ও নৌকোর উপর হামলা চালানোর স্বাধীনতা দেওয়া হয় চিনা উপকূলরক্ষীদের। ফলে তারা আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। তাই ওই অঞ্চলে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবছর চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে (Taiwan) মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। সেবার ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন। এই অস্ত্র চুক্তি যে চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে আগস্টের ১০ তারিখ চিনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তাইপে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের জোরাল সমর্থন রয়েছে বলে জানান। সব মিলিয়ে চিন সামরিক পদক্ষেপ করলে তাইওয়ানের মদত করবে আমেরিকা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।