সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গেলেও থামেনি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ‘শ্যাম ও কুল’ দুটোই রাখতে কার্যত সুতোর উপর হাঁটছে ভারত। এহেন জটিল পরিস্থিতিতে এবার কোয়াড (QUAD) গোষ্ঠীর বৈঠকে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানতে যৌথ প্রস্তাব আনার দাবি জানাতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বইডেন। ফলে প্রশ্ন হচ্ছে, মার্কিন চাপ এড়িয়ে মস্কোর পাশে কি দাঁড়াবে নয়াদিল্লি?
[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের সফর চলাকালীন মিসাইল হানা রাশিয়ার]
আমেরিকা, ভারত, জাপন ও অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় জোট কোয়াড। মূলত, ইন্দো-প্যাসিফিক তথা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই এই জোট তৈরি হয়েছে। এবং বেজিংকে চাপে রাখতেই কোয়াডের সদস্য হয়েছে নয়াদিল্লি। এবং ভারতের সেই দুর্বলতাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন বাইডেন। বলা ভাল, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে লড়িয়ে দিতে বাইডেনের হাতিয়ার এবার QUAD গোষ্ঠী। আর এখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। কোনওভাবেই রাশিয়াকে দূরে ঠেলে দিতে চায় না সাউথ ব্লক। মোদি সরকারের সবচেয়ে বড় ভীতির কারণ হচ্ছে চিন-রাশিয়া অক্ষ। ফলে নয়াদিল্লি কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে তা দেখার।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মে মাসের ২৪ তারিখ টোকিওতে বৈঠকে বসতে চলেছে কোয়াড গোষ্ঠী। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিকে প্রশ্ন করা হয়, বাইডেন কি সেখানে ইউক্রেন প্রসঙ্গ তুলবেন? উত্তরে, সাকি বলেন, “বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানাবেন এই মুহূর্তে আমরা কী করছি এবং পরিস্থিতি কেমন।” রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোয়াড জোটের বৈঠকে যৌথ বিবৃতি জারি করার বিষয়ে দাবি জানাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোয়াড বৈঠকে মিলিত হন। তাঁরা ছা়ড়াও অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন ওই বৈঠকে। অনলাইন এই বৈঠকে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কোয়াড বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন চার রাষ্ট্রনায়ক। সেখানে কোয়াড গোষ্ঠীর সম্মিলিত অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।