সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এবার তালিবান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে আমেরিকা। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে।
[আরও পড়ুন: CIA চরদের খুন করছে চিন-রাশিয়া-পাকিস্তান, উদ্বেগ মার্কিন গোয়েন্দা মহলে]
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, কোন কোন দেশ আফগানভূমে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে। এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই জেহাদিদের প্রশাসনকে মান্যতা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে তালিবানকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে রাশিয়া (Russia)। ২০ অক্টোবর ওই বৈঠক হতে চলেছে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ প্রতিনিধি জানিয়েছেন। এহেন কূটনৈতিক মারপ্যাঁচে এবার তালিবান শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কাতারের রাজধানী দোহায় আলাদাভাবে আলোচনায় বসতে চলেছেন বাইডেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। ফলে জল্পনা, তবে কি অবশেষে আফগানিস্তানে কিছুটা সুবিধার বদলে তালিবদের স্বীকৃতি দিতে চলেছে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। চুক্তি মতো আফগানিস্তান থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয় ওয়াশিংটন। সেই পথেই হাঁটেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু আফগানিস্তান দখল করলেও সে দেশে সরকার গড়তে বেগ পেতে হচ্ছে তালিবানকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাসনে সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন আশরফ ঘানি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা করে আফগানিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র।
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের উত্থান থেকে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ভাবিয়ে তুলছে আমেরিকাকে। একই সঙ্গে সেদেশে রাশিয়া ও চিনের প্রভাবও এয়াশিংটনের চিন্তার কারণ। তাই সবমিলিয়ে, এবার তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসে কূটনৈতিক মঞ্চে কিছুটা হলেও হারানো জমি উদ্ধারের চেষ্টায় তৎপর হয়েছে আমেরিকা।