সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলফির (Selfie) নেশাই কাল। তার জেরেই ইটালির (Italy) নেপলসে বেড়াতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন মার্কিন পর্যটক। ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির লাভামুখের গহ্বরে পড়ে গেলেন তিনি। কোনওক্রমে অবশ্য উদ্ধারকারী দল তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়। তাতেই প্রাণ বাঁচে পর্যটকের। তাঁর হাত, পা ও পিঠে আঘাত রয়েছে। আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি। তবে উদ্ধারকারী দল জানাচ্ছে, কাজটি সত্যিই খুব কঠিন ছিল। বরাতজোরে বাঁচানো গিয়েছে ওই পর্যটককে। এই ঘটনার পর পর্যটকদের স্বার্থে এলাকার সুরক্ষা বলয় বাড়ানো হয়েছে।
ঘটনা ঠিক কী? ইটালির নেপলসে (Naples)পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন আমেরিকার এক পর্যটক। নেপলস মানেই ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি (Mount Vesuvius)। যা যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর অন্যতম জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হিসেবে পরিচিত। একসময় ভিসুভিয়াসের লাভাস্রোতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কতশত এলাকা, জনপদ। তবে বেশ অনেক বছর ধরেই ঘুমিয়ে গিয়েছে ভিসুভিয়াস। এখন মৃতবৎ বিশ্বের অন্যতম বিভীষিকা। কিন্তু তার গভীর হাঁ-মুখ এখনও মৃত্যুফাঁদ। সেই মুখগহ্বর কেড়ে নিচ্ছিল পর্যটকের প্রাণ।
[আরও পড়ুন: ফের ঋণে সুদের হার বাড়াল স্টেট ব্যাংক, কাঠগড়ায় মোদি সরকারের দিশাহীন অর্থনীতি]
ভিসুভিয়াসের চারপাশকে সুন্দর করে সাজিয়ে গড়ে উঠেছে ভ্রমণ পার্ক। নেপলসে আগত পর্যটকরা এই জায়গা না ঘুরে ফিরে যান না। মার্কিন যুবকও তাই গিয়েছিলেন কনফেসেরসেন্টিতে। বিশাল ভিসুভিয়াসের খাদের ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন তিনি। হাত ফসকে মোবাইল ফোনটি পড়ে যায় আগ্নেয়গিরির খাদে। আর তা উদ্ধারের চেষ্টা করতেই ভয়ংকর বিপদে পড়েন পর্যটক। সোজা খাদের নিচে প্রায় ৫০ ফুট নিচে তলিয়ে যান। হয়ত মৃত্যুই ছিল তাঁর নিয়তি। কিন্তু প্রাণে বাঁচলেন বরাতজোরে।
[আরও পড়ুন: নারকীয় হত্যাকাণ্ড! স্ত্রীকে খুনের পর সন্তানদের সামনেই কড়াইয়ের ফুটন্ত জলে সেদ্ধ করল স্বামী]
সঙ্গে সঙ্গে এই দুর্ঘটনা নজরে পড়ে কনফেসেরসেন্টি পর্যটন সংস্থার এক গাইডের। সংস্থার কর্ণাধার পাওলো ক্যাপেলি জানিয়েছেন, পর্যটক পড়ে যাওয়া মাত্রই চার টুরিস্ট গাইড ছুটে যান। লম্বা দড়ি বেয়ে তাঁরা ৫০ ফুট গভীরে নামেন। তারপর তাঁকে টেনে তোলা হয়। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছিলেন ওই পর্যটক। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এহেন রোমহর্ষক ঘটনার অভিজ্ঞতা হওয়া উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বলছেন, ভিসুভিয়াসের গহ্বরে ঢুকে এভাবে উদ্ধারকাজ সত্যিই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই ঘটনার পর ভিসুভিয়াস পার্কের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। যাতে কেউই খাদের কিনারা পর্যন্ত না যেতে পারেন, সেদিকে কড়া নজর পার্ক কর্তৃপক্ষের।