সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার রাতে আফগানিস্তান (Afghanistan) ছেড়েছে মার্কিন (US) সেনা। ক্যালেন্ডারের পাতায় ৩১ আগস্ট পড়ার আগেই অক্ষরে অক্ষরে প্রতিশ্রুতি পালন করে সেদেশ ছাড়ে তারা। কিন্তু গোটা বাহিনী এখনই ফিরছে না আমেরিকায়। জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় মার্কিন সেনার একটি অংশ প্রবেশ করেছে পাকিস্তানে (Pakistan)। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন। এবার কি পাকিস্তানে বসেই তালিবানের উপরে নজরদারি চালাবে ওয়াশিংটন?
স্বাভাবিক ভাবেই এমন প্রশ্নে অস্বস্তিতে পাকিস্তান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ অবশ্য মার্কিন সেনার পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ঘাঁটি তৈরি করলেও বেশিদিন সেখানে থাকবে না মার্কিন সেনা। এই বন্দোবস্ত একান্তই সাময়িক। কয়েকদিন আগে তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছিল, পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ঘর। এমনকী পাকিস্তানই তালিবানের জন্মদাতা বলে দাবি করে সে। এমন মধুর সম্পর্কের পরেও কী করে মার্কিন সেনাকে আফগানিস্তানের উপরে নজরদারি চালানোর অনুমতি দিচ্ছে পাকিস্তান, এই প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান নিয়ে নয়া প্রস্তাবনা UNSC বৈঠকে, অনুপস্থিত চিন-রাশিয়া]
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে মার্কিন সেনার উপস্থিতির ছবি। গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করার পরই এবার মুখ খুলেছেন পাক মন্ত্রী। ইমরান মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শেখ রশিদ আহমেদ ‘ডন’ সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ”আফগানিস্তান ছাড়ার পর পাকিস্তানে মার্কিন সেনা প্রবেশ করলেও তারা খুব অল্প সময়ের জন্য়ই এদেশে থাকবে। খুব বেশি হলে ২১ থেকে ৩০ দিন। ওই সময়কালের জন্যই তাদের ট্রানজিট ভিসা দেওয়া হয়েছে।”
ইমরানের বিরোধীদের দাবি, পাক প্রশাসন যাই বলুক, এর আগে মুশারফ জমানায় আফগানিস্তানে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়েছিল ন্যাটো বাহিনী। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা রয়েছে এবারও। যদিও রশিদ বিরোধীদের এই ধরনের দাবিকে নস্যাৎ করে জানিয়েছেন, সেই অতীত আর ফিরবে না।